নয়াদিল্লি: ভারতবর্ষে যেমন একদিকে টিকাকরণ শুরু করে দিয়েছে অন্যদিকে একাধিক দেশে টিকা পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যে। সেই একাধিক দেশের মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল। ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন পেয়ে উচ্ছ্বসিত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। তিনি এতটাই খুশি যে ভ্যাকসিনকে ‘সঞ্জীবনী বুটি’র সঙ্গে তুলনা করে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন। সঙ্গে পোস্ট করলেন হনুমানের ছবিও।
ভারতের তৈরি কোভ্যাক্সিন করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন ব্রাজিলে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রেক্ষিতে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট সেই ভ্যাকসিনকে রামায়ণের ‘সঞ্জীবনী বুটির’ সঙ্গে তুলনা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। একই সঙ্গে হনুমান সঞ্জীবনী বুটি নিয়ে ফিরছেন এইরকম একটি ছবি পোস্ট করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যাচ্ছে ভারতের কাছ থেকে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পেয়ে তিনি কতটা উচ্ছ্বসিত। যে ছবিতে নি পোস্ট করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, কাঁধে গন্ধমাদন পর্বত নিয়ে হনুমান উড়ছেন। সেইসঙ্গে লিখেছেন, “নমস্কার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মহামারীর সময় আপনার মতো পার্টনারকে সঙ্গে পেয়ে সম্মানিত অনুভব করছে। করোনা ভ্যাকসিনকে ভারত থেকে ব্রাজিলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।” অর্থাৎ হনুমান যেভাবে সঞ্জীবনী বুটি এনে লক্ষণকে বাঁচিয়েছিলেন, ভারতের ব্রাজিলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘটনাকেও তার সঙ্গে তুলনা করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট।
– Namaskar, Primeiro Ministro @narendramodi
– O Brasil sente-se honrado em ter um grande parceiro para superar um obstáculo global. Obrigado por nos auxiliar com as exportações de vacinas da Índia para o Brasil.
– Dhanyavaad! धनयवाद pic.twitter.com/OalUTnB5p8
— Jair M. Bolsonaro (@jairbolsonaro) January 22, 2021
উল্লেখ্য, কেবল ব্রাজিল নয়, মরক্কোকেও ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত। দুই দেশকেই আপাতত ২০ লক্ষ করে ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ এবং নেপালসহ বিশ্বের একাধিক দেশ মায়ানমার, ভুটান, মালদ্বীপকেও ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে ভারত। পরবর্তী ক্ষেত্রে আরো বেশ কয়েকটি দেশকে ভ্যাকসিন পাঠানো হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে দেশে প্রথম দফার করোনা টিকাকরণ শুরু হয়েছে ১৬ জানুয়ারি। প্রথম দফায় ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ২ কোটি করোনা যোদ্ধা মিলিয়ে মোট ৩ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার কর্মসূচী নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা টিকা নেবেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ৫০ বছরের ঊর্দ্ধে বয়স হওয়া সাংসদ, বিধায়কদেরও এই পর্বে টিকাকরণ করা হবে।