আজ বিকেল: পকেটমারের পকেট কেটে আড়াই লক্ষ টাকা ট্যাঁকে গুঁজলেন স্বয়ং পুলিশ ইনস্পেক্টর। যে সে কোনও ইনস্পেক্টর নয় একেবারে জাঁদরেল মহিলা পুলিশ ইনস্পেক্টর। নাম, কায়ালভিজি, তিনি চেন্নাই সেন্ট্রাল রেলের ইনস্পেক্টর। চেন্নাইয়ের সেন্ট্রাল রেলওয়ে থানা তাকে তাঁকে শহরের কোনাও থানায় ট্রান্সফার করার কথা হচ্ছিল, তার আগেই কাওয়ালভিজির কালি ধান্দা প্রাকাশ্যে এসে পড়ায় হতবাক সহকর্মীরা। এমনকী পুলিশের কর্তাব্যক্তিদের মুখেও কথা ফুটছে না। কাওয়ালভিজিকে এখনও গ্রেপ্তার করা না হলেও তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পকেটমারের পকেটে থাকা ১৩টি এটিএম কার্ডের মদ্যে দুটিকে তিনি নিজেই সরিয়ে ফেলেন। বাকিগুলি থানায় জমা করে দেন, সেই দুটি কার্ড থেকেই ধাপে ধাপে আড়াইলক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন কাওয়ালভিজি। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে ব্যাংকের থেকে লেনদেনের নথি চাওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখিত এটিএম কাউন্টার গুলির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। তাহলেই বোঝা যাবে কাওয়ালভিজি ওই আড়াই লক্ষ টাকা সরিয়েছেন কী না। মে মাসে চেন্নাই সেন্ট্রালের কুখ্যাত পকেটমার সাহুল হামিদকে হাতেনাতে ধরেন কাওয়ালভিজি তার কাছ থেকেই রেলাযাত্রীদের দামী গহনা, সহ-১৩টি এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়। হামিদের জেল হয়। সম্প্রতি তার বোন থানায় এসে জানায় হামিদের চুরি করা মোবাইলে টাকা তোলার মেসেজ এসেছে, একেবারে আড়াই লক্ষ টাকা তোলার মেসেজ। সমস্ত এটিএম কার্ড যখন থানায় জমা পড়েছে আর হামিদ যখন জেলে তাহলে এই টাকা তুলল কে? হামিদের বোনের কথায় যুক্তি আছে, এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। জানা যায়, যে দুটি এটিএম কার্ড থেকে আড়াই লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে, সেদুটি কার্ড থানায় জমাই পড়েনি। এবার কাওয়ালভিজির কাছ থেকে সেই এটিএম কার্ড উদ্ধার হতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ।
তদন্ত রিপোর্ট বলছে এসি ফার্স্ট ক্লাস ও সেকেন্ড ক্লাস কামড়ার যাত্রীদের পকেট কাটত সাহুল, এই বিষয়টি ভাল করে জানতেন পুলিশকর্মী কাওয়ালভিজি। এছাড়া কাওয়ালভিজি অ্যাকাউন্টে জমা পড়া আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েও সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তবে নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ হাতে না এলে তিনিই যে বাটপারি করেছেন, তা প্রমাণ করা যাবে না।