নয়াদিল্লি: আজ থেকে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস টিকার বুস্টার ডোজ। চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মী, প্রথমসারির করোনা যোদ্ধা এবং কমোর্বিডিটি রয়েছে এমন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের এই টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু এই টিকা প্রদান শুরু হলেও এখনও কিছু প্রশ্ন রয়েছে যার কোনও উত্তর মিলছে না। তা নিয়েই এখন চিন্তিত দেশের একাংশ। প্রশ্ন রয়েছে চিকিৎসকদের মধ্যেও।
আসলে যাদের এই বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে অর্থাৎ চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, তাদের বেশিরভাগ এখন করোনা আক্রান্ত। তাই তারা কেউ কি এখন এই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন, সেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, যার উত্তর আপাতত নেই। অন্যদিকে, দ্বিতীয় টিকা নেওয়া পর পরই যারা কোভিড আক্রান্ত তারা কবে বুস্টার ডোজ পাবেন সেটাও পরিষ্কার নয়। আসলে কেন্দ্রীয় সরকারি নির্দেশিকায় আগে বলা হয়েছিল যে, প্রথম টিকা নেওয়া পর যাঁরা কোভিড পজিটিভ হয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয় টিকা নিতে অন্তত তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তৃতীয় টিকার ব্যাপারে এমন কোনও নির্দেশ নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। এছাড়াও টিকা সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, যেমন কোভ্যাক্সিন নিয়ে প্যারাসিটামল নিতে বারণ করা হচ্ছে, সেই নিয়েও একটা দোটানা রয়েছে।
করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য পুনরায় কোউইন পোর্টালে নাম রেজিস্টার করতে হবে না। সরাসরি যে কোনও টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া যাবে এবং টিকা পাওয়া যাবে। এর আগে কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়েছিল ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সিরা যাঁরা দু’টি কোভিড-১৯ টিকা নিয়েছেন তারা কোনও রকম প্রমাণপত্র ছাড়াই বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। প্রাথমিক ঘোষণায় কেন্দ্র বলেছিল, কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন প্রবীণ নাগরিকেরাই দু’টি টিকা নেওয়ার পরে বুস্টার ডোজ পাবেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র পেশ করতে হবে। কিন্তু পরে জানিয়ে দেওয়া হয় যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট বা চিকিৎসকের দেওয়া কোনও শংসাপত্র বা প্রমাণপত্র কিছুই লাগবে না।