মুম্বই: সকাল সকাল মুম্বইয়ের একটি হোটেলে বোমাতঙ্ক। বাণিজ্যনগরীর ওই হোটেলে নাকি রাখা রয়েছে বেশ কয়েকটি বোমা। মঙ্গলবার সকালে ওই হোটেলে ফোন করে এমনই হুমকি দিয়েছেন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে মুম্বই পুলিশ। অন্যদিকে এই হুমকি ফোনের খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ওই হোটেল এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে হঠাৎই ওই হোটেলে এক অজ্ঞাতেপরিচয় ব্যক্তি ফোন করে জানান, হোটেলে চার জায়গায় বোমা রাখা রয়েছে। যদি বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করতে হয় তাহলে তাকে পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে। এই ফোনের পরেই আতঙ্ক ছড়ায় হোটেল চত্বরে। ইতিমধ্যেই গোটা হোটেলটি ফাঁকা করা হয়েছে বলে খবর। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
প্রসঙ্গত স্বাধীনতা দিবসের পর থেকেই একের পর এক নাশকতামূলক হামলার সম্ভাবনায় ইতিমধ্যেই বাণিজ্য নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। দিন কয়েক আগে মুম্বই পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোলের হোয়াটসঅ্যাপে পাকিস্তানের একটি নম্বর থেকে মেসেজ আসে যে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ২৬/১১-এর ধাঁচে মুম্বইয়ে ফের জঙ্গি হামলা চালানো হবে। অজ্ঞাত ওই বিদেশী নম্বর থেকে এমন হুমকি পেয়ে রীতিমত নড়েচড়ে বসে গোটা দেশ। ওই হুমকিতে বলা হয়েছিল, ‘মুম্বইয়ে এমন একটি হামলা চালানো হবে যা২৬/১১ কে মনে করাবে। আমার এই ফোন নাম্বার যদি খতিয়ে দেখা হয় তাহলে লোকেশন হিসেবে ভারতই দেখাবে। বিস্ফোরণ ঘটাবে ছজন এবং সেই ছটি বিস্ফোরণ মুম্বই শহরেই হবে। ওসামা বিন লাদেন, আজমল কাসব এবং আয়মান আল জওয়াহিরিকে হত্যার জন্য ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছু ঘটবে।’
এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই আবার মুম্বইয়ের অদূরে রায়গড় উপকূলে পরিতক্ত একটি নৌকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। উদ্ধার হওয়া ঐ সমস্ত অস্ত্রের মধ্যে ছিল একে ৪৭-এর মতো অত্যাধুনিক রাইফেলও। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেও যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা শহরে। রায়গড়ের হরিহরেশ্বরের একটি সৈকতে মেলে নৌকা বোঝাই ওই আগ্নেয়াস্ত্র। সেই ঘটনারও তদন্ত চালাচ্ছে মুম্বই পুলিশ। কিন্তু তার মধ্যেই মুম্বইয়ের এই হোটেলে বোমাতঙ্ক নতুন করে বাড়িয়েছে উদ্বেগ, আতঙ্ক।