কাড্ডালোর: তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বয়লারে ফেটে ৬ জনের মৃত্যু। তামিলনাড়ুর কাড্ডালোরের ঘটনা। বিস্ফোরণে ১৬জন পুড়ে গেছেন। রাজধানী চেন্নাই থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাড্ডালোরে রাষ্ট্রীয় সংস্থা এনএলসি-র তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণটি ঘটে। গত দুমাসে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে এটি দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে জখমদের নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। ফেটে যাওয়া বয়লারটিতে কোনও কাজ হচ্ছিল না।
পুরো বিষয়টি কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক ডিরেক্টর আর বিক্রমণ। ১৬জন জখমের মধ্যে ছজন স্থায়ী কর্মী, ১০জন চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক বলে জানানো হয়েছে। মৃতদের খোঁজ খবর চলছে। ঘটনার পর টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টুইটে তিনি লেখেন তামিলনাড়ুর নেভেলি পাওয়ার প্ল্যান্টে বয়লারে প্রাণহানির বিষয়ে জানতে তিনি আগ্রহী। টুইটে তিনি জানান. তামিলনাড়ুর সিএমও এবং সিআইএসএফ হেডকোয়ার্টার্স ত্রাণ কাজে সহায়তা করার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছান। জখমদের শীঘ্র সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করার কথাও টুইটে জানিয়েছেন অমিত শাহ। মে মাসেই কারখানার ৮জন শ্রমিক একই ধরণের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হন। সেই বিস্ফোরণেও নিয়মিত এবং চুক্তিভিত্তিক দুধরণের শ্রমিকরা জখম হন।
এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩,৯৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হয়। যে প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ হয়েছে তার উৎপাদনক্ষমতা ১৪৭০ মেগাওয়াট। কারখানার ২৭ হাজার কর্মীর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার চুক্তিভিত্তিক। গত দুমাসে প্রচুর মৃত্যু ও দুর্ঘটনার খবর মিলেছে বিভিন্ন শিল্পতালুকে। বিশাখাপত্তনমের সাইনর লাইফ সায়েন্সেস ফার্মের একটি ইউনিটে গ্যাস লৱিক করে দুজনের মৃত্যু হয়, জখম হন চারজন। ভাইজাগে মে মাসে এল জি পলিমারসে গ্যাস লিকের ঘটনায় দুই শিশুসহ এগারোজনের মৃত্যু হয়। একরাতের ভিতর এই দুর্ঘটনায় প্রায় হাজারজনের কাছে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার সঙ্গে ১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার তুলনা করা হয়। ইউনিয়ন কার্বাইডের একটি কীটনাশকের কারখানা থেকে গ্যাস লিক করে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।