নয়াদিল্লি: দেশের শীর্ষ আদালতে ঝুলে রইল মহারাষ্ট্র সরকারের ভবিষ্যৎ৷ টানা দু’দিনের সওয়াল-জবাব শোনার পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সরকার গঠন সংক্রান্ত মামলার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট৷ ওই দিনই ফয়সলা হয়ে যাবে, রাতারাতি সরকার গঠন করে বিধানসভায় বিজেপিকে শক্তি পরীক্ষা দিতে হবে কি না৷
আজ মামলার শুনানিতে মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টকে জবাব দিয়েছে কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের তরফে সাফ দানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এনসিপির দলনেতা অজিত পাওয়ার বিজেপিকে সমর্থন করেছে৷ চিঠিতে এনসিপির ৫৪ জন বিধায়কেরের স্বাক্ষক রয়েছে৷ আর সেই কারণে সরকার গঠন করা হয়েছে৷ একই সঙ্গে অজিত পাওয়ারও দাবি করেছেন তিনি এনসিপির দলনেতা৷ তাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করেছে৷
পাল্টা কংগ্রেসের তরফে শনিবার ভোররাতে তড়িঘড়ি সরকার গঠন নিয়েও প্রশ্ন তুলে অবিলম্বে বিধানসভায় সরকারকে শক্তি পরীক্ষা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে৷ বিজেপি যেভাবে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করেছে তা অসাংবিধানিক বলেও দাবি করা হয়েছে৷ বিরোধীদের তোলা অভিযোগের জবাব দিয়ে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, বিরোধীদের সময় দেওয়ার হলেও সরকার গঠন করতে পারেনি তাঁরা৷ ফলে, সাংবিধানিক অধিকার বলে রাজ্যপাল বিজেপিকে সরকার গঠনের জন্য ডেকেছিল৷ বিজেপি-এনসিপি বিধায়কদের সমর্থনে সরকার গঠন করা হয়েছে৷
মহারাষ্ট্রে যে ভাবে সরকার গঠন করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আজ সংসদে ভিতর ও বাইরে প্রবাদ জানিয়েছে কংগ্রেস৷ দীর্ঘ অজ্ঞাতবাস কাটিয়ে আজ লোকসভা দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, ‘‘আমি আজ সংসদে বেশ কিছু প্রশ্ন করব বলে এসেছিলাম৷ কিন্তু, মহারাষ্ট্রে যে ভাবে সরকার গঠন হয়েছে তা দেশের গণতন্ত্রণের হত্যা করা হচ্ছে৷ ফলে, প্রশ্ন করার আর কোনও মানেই হয় না৷’’