কলকাতা: নেতাজি অন্তর্ধান নিয়ে রহস্য থাকলেও চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রমাণ দিল বিজেপি-কংগ্রেস দুই শিবির৷ আজ, টুইট করে বিজেপি ও কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, আজ নাকি নেতাজির মৃত্যু বার্ষিকী৷ কিন্তু, বাস্তবে আজও পর্যন্ত নেতাজির মৃত্যু দিনক্ষণ নিয়ে কোনও তথ্য প্রমাণ এখনও প্রকাশিত হয়নি৷ সরকারও প্রকাশ করেনি৷ কিন্তু, সরকারি ভাবে নেতাজির মৃত্যুর দিনে ধোঁয়াশা থাকলেও গুজরাট বিজেপি ও কংগ্রেসের তরফে ফলাও করে জানানো হয়েছে নেতাজির মৃত্যু দিন৷ এর এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷
যদিও, গবেষকরাদের বড় অংশ মনে করেন, তাইহুকু বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি৷ অনেকে আবার ভিন্ন মত প্রকাশ করলেও আদতে সরকারি ভাবে নেতাজির মৃত্যু দিন প্রকাশ করা না হলেও বিজেপি কংগ্রেস কীভাবে এই দাবি করল? এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷
এই বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছে প্রেস ইন্ডিয়া ব্যুরো বা পিআইবি৷ আজ টুইট করে পিআইপির তরফে জানানো হয়েছে, আজ ১৮আগস্ট এই দিনেই ১৯৪৫ সালে নেতাজির মৃত্যু হয়৷ ছবি প্রকাশ করে শ্রদ্ধাও জানায় পিআইবি৷ কিন্তু, উঠছে সরকারি বার্তা প্রদানকারী সংস্থা কোনও তথ্যপ্রমাণ না দিয়ে কীভাবে এই তথ্য পেশ করল? যদিও এই দাবি প্রসঙ্গে কোনও তথ্য প্রমাণ পেশ করতে পারেনি পিআইবি৷
#PIB remembers the great freedom fighter Netaji Subhash Chandra Bose on his death anniversary.#Netaji #subhashchandrabose pic.twitter.com/rhVaxpZmye
— PIB India (@PIB_India) August 18, 2019
Today we honour one of our nation’s greatest freedom fighters, a man without whom our history would not be the same. Subhas Chandra Bose exemplified freedom of thought and action. pic.twitter.com/ptcqFYyjyJ
— Congress (@INCIndia) August 18, 2019
রবিবার সকালে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘‘আজ এই দিনেই ১৯৪৫ সালে নেতাজি তাইওয়ানের তাইহুকু বিমানবন্দর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান৷ আমরা আজও জানি না এরপর কী হয়েছিল৷ দেশমাতৃকার এই বীর সন্তানের বিষয়ে জানার অধিকার সকল দেশবাসীর আছে৷’’
নেতাজি গবেষকদের দাবি, ১৯৪৫ সালে ১৮ আগস্ট তাইওয়ানের তাইহোকু বিমানবন্দরে শেষ বার দেখা গিয়েছিল নেতাজিকে৷ কিন্তু, তার পর আর তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ ওই দিনই একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে৷ ওই দুর্ঘটনার সূত্র ধরে অনেকেই দাবি করেন, তাইহোকুতে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নেতাজির৷ কিন্তু, আদৌও ওই বিমানে নেতাজি ছিলেন কি না, দুর্ঘটনায় নেতেজির মৃত্যু হয়েছিল কি না, তার কোনও তথ্য প্রমাণও মেলেনি৷
নেতাজি গবেষকদের একাংশ মনে করেন, ওই বিমানবন্দর থেকে গা ঢাকা দেন নেতাজি৷ ছদ্মবেশি নেতাজি উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের চলে আসেন৷ সেখানেও ছদ্মবেশ ধারণ করেন বলেও অনেকে মনে করেন৷ তবে, ঘটনা যাই হোক না কেন, নেতাজির মৃত্য নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা আছে৷