নয়াদিল্লি: পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে এখনই চুপ থাকতে রাজি নয় ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। প্রথম থেকেই তারা কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করেছে এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি তো ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করার চেষ্টা হয়েছে। পরিকল্পনা করে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এবার এই ইস্যুকে সামনে রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ফাঁড়া’ কাটাতে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপের পরিকল্পনা করেছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতি ও শুক্রবার দলের যুব শাখা গোটা দেশে মিছিল করবে আর দলের সর্বস্তরের নেতারা মন্দিরে মন্দিরে মোদীর জন্য পুজো দেবেন। জপ করা হবে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র। বাংলার বিজেপি নেতৃত্বও কাজ শুরু করে দিয়েছে। মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করলে নাকি মানুষ সব অশান্তি, রোগপীড়া, ব্যাধি থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত হয়। পঞ্জাবে যে ঘটনা ঘটেছিল সেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজে জানিয়েছিলেন যে তিনি ভাগ্যবান যে বেঁচে ফিরেছেন। অর্থাৎ তিনি স্পষ্ট বলতে চেয়েছেন যে, সেখানে তাঁর প্রাণ যাওয়ার ভয় ছিল। তাই জন্যই এখন বিজেপি মোদীর জন্য, তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করে পুজো করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি বিজেপি মনে করছে, ভাতিন্দায় যা হয়েছে তাতে নরেন্দ্র মোদীর জীবনের বড় ‘ফাঁড়া’ কেটে গিয়েছে। এমন ফাঁড়া যাতে আর না আসে তার জন্যই দেশ জুড়ে এই পুজো।
প্রসঙ্গত, পঞ্জাবে ভাতিন্দার কাছে উড়ালপুলের ওপর প্রায় ২০ মিনিট আটকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে ঘটনা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ‘ক্ষুব্ধ’ হয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনি সরাসরি এই নিয়ে মুখ না খুললেও কৌশলে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি ভাতিণ্ডা বিমানবন্দরে ফিরে সেখানকার কর্মীদের বলেছেন, ”আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাবেন, আমি ভাতিন্দা বিমানবন্দর পর্যন্ত বেঁচে ফিরতে পেরেছি।” প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তা যে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শ্লেষাত্বক আক্রমণ, তা বুঝতে বাকি নেই।