বেঙ্গালুরু: কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পাঞ্জাব হরিয়ানা সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে অসংখ্য কৃষক নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য পারি দিয়েছেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। অন্নদাতা কৃষকদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। কিন্তু সরকারের পাশেও দাঁড়াতে দেখা গেছে অনেককেই। কৃষক আন্দোলন নিয়ে সেই উত্তপ্ত আবহেই এবার বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন কর্ণাটকের বিজেপি মন্ত্রী।
কৃষকদের আত্মহত্যার জন্য কোনো ভাবেই সরকারকে দায়ী করা চলে না, নিজেদের মানসিক দুর্বলতার কারণেই আত্মহত্যা করেন কৃষকরা, এদিন এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপি শাসিত কর্ণাটকের কৃষি মন্ত্রী বি সি পাটিল। এদিন মাইসুরুতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি কৃষক বিক্ষোভ সম্বন্ধে নিজের মতামত জানান। আর তখনই কৃষকদের আত্মহত্যা নিয়ে এই ধরণের বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন বি সি পাটিল। এদিন তিনি বলেন, “কৃষকদের এই ধরণের চরম সিদ্ধান্তের জন্য কোনোভাবেই সরকারি নীতিকে কাঠগড়ায় তোলা উচিত নয়। শুধু কৃষকরাই নয়, শিল্পপতিরাও আত্মহত্যা করে থাকেন।” সব আত্মহত্যাকে কৃষক আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়র বিরুদ্ধেও সরব হন কর্ণাটকের কৃষি মন্ত্রী বি সি পাটিল। বস্তুত, যে সমস্ত কৃষক আত্মহত্যা করেন, তাঁদের নিয়ে বি সি পাটিলের বিতর্কিত মন্তব্য এই প্রথম নয়। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর কর্ণাটকের কোডাগু জেলাতেও কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে নিজের ক্ষোভ জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “যে সমস্ত কৃষকরা আত্মহত্যা করেন, তাঁরা কাপুরুষ। একমাত্র কাপুরুষ, যাঁরা নিজেদের বউ ছেলে মেয়েদের দায়িত্ব নিতে পারে না, তাঁরাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। জলে পড়লে সাঁতার কেটেই জিততে হয়।”
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে কৃষি সংক্রান্ত কেন্দ্র সরকারের তিনটি বিল পাশ হয় পার্লামেন্টে। সরকারের তরফ থেকে এই আইনের মাধ্যমে কৃষকদের উন্নয়নের দাবি করা হলেও বিরোধী দল গুলি প্রথম থেকেই ছিল এই আইনের বিপক্ষে। তাঁদের দাবি এই আইন আদতে প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদেরই সাহায্য করবে, কৃষকদের নয়। এই আইনের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা।