bjp
নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ডের টাকা কোথা থেকে আসছে? এই প্রশ্নের উত্তর জানার অধিকার আমজনতার নেই বলেই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। খোদ সুপ্রিম কোর্টে এই বক্তব্য বেশ করেছে তারা। স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে আলোচনা চলছে। এরই মাঝে যে খবর সামনে এল তা বিতর্ক আরও বাড়াবে। কারণ জানা গিয়েছে, নির্বাচনী বন্ডের কারণে সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি দলই। বাকি রাজনৈতিক দলগুলিরও অনুদান বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু বিজেপির মতো কেউই লাভ করতে পারেনি। তাহলে কি কালো টাকার বিরুদ্ধে মোদী সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতিই রয়ে গেল?
অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের তথ্যে উঠে এসেছে, ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড চালু হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলির ‘উপার্জন’ বেড়েছে বিশেষভাবে। দেখা গিয়েছে, ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ পর্যন্ত সর্বভারতীয় সব দলগুলির মোট উপার্জনের ৬৬ শতাংশই এসেছিল অজানা সূত্র বা এই নির্বাচনী বন্ড থেকে। তবে এই উৎস থেকে পাওয়া অনুদানে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির। বিজেপির ক্ষেত্রে এমন অনুদান ৫৮ শতাংশ থেকে একলাফে ৬৮ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, শেষ পাঁচ বছরে ইস্যু হওয়া মোট নির্বাচনী বন্ডের ৫৭ শতাংশই গিয়েছে মোদী-শাহের দলের কাছে। যার পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
বিজেপির পর সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে কংগ্রেস। তারা পেয়েছে সাড়ে ৯০০ কোটির কিছু বেশি টাকা। এটি ইস্যু হওয়া মোট বন্ডের মাত্র ১০ শতাংশ। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী বন্ড থেকে প্রাপ্ত অঙ্ক ৭৬০ কোটি টাকার কাছাকাছি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ডের বিষয়টি চালু হওয়ার পর বন্ড বিক্রির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করতে চায়নি সর্বোচ্চ আদালত। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনও দাবি করেছিল যে, বন্ডে কোনও অস্বচ্ছতা নেই।