আবুল কালামের মধ্যে ভারতীয়ত্ব ছিল না! বিজেপি নেতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস

ফের একবার বিতর্কিত মন্তব্য। ফের এক বিজেপি নেতা। ফের উত্তরপ্রদেশ।

লখনউ: ফের একবার বিতর্কিত মন্তব্য। ফের এক বিজেপি নেতা। ফের উত্তরপ্রদেশ। এবার দেশের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা এবং মন্ত্রী আনন্দ স্বরূপ শুক্লা। তার দাবি, আবুল কালাম আজাদের মধ্যে কোন ভারত বা ভারতীয়ত্ব ছিল না! এই মন্তব্য শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছে কংগ্রেস শিবির। তাদের বক্তব্য, বিজেপি নেতার এই মন্তব্য সত্যি লজ্জাজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক।

বাল্লিয়ার এক জনসভায় বিজেপি নেতা আনন্দ স্বরূপকে বলতে শোনা যায়, ঔরঙ্গজেবের হাত থেকে বাঁচতে কাশ্মীরি পন্ডিতরা গুরু তেগ বাহাদুর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করানো হচ্ছিল তাদের। এর প্রতিবাদ করায় ঔরঙ্গজেব মাথা কেটে নিয়েছিলেন গুরু তেগ বাহাদুরের। যদিও এই সব ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছে যার জন্য দায়ী প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। বিজেপি নেতার মন্তব্য, শুধুমাত্র ইতিহাসে আকবরকে মহান দেখানো হয়েছে কিন্তু আদতে ঐতিহাসিকরা এই তথ্য স্বীকার করেন না। অর্থাৎ একটা বিষয়ে স্পষ্ট, সত্যি লুকিয়ে গিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। তাঁর মধ্যে আদতে কোন ভারতীয়ত্ব ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি নেতার এই মন্তব্যের পর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে কংগ্রেস শিবির। তাদের বক্তব্য, বিজেপি নেতার এই মন্তব্য একদিকে যেমন লজ্জাজনক অন্যদিকে হাস্যকর। 

কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, আবুল কালাম আজাদ হলেন সেই ব্যক্তি যিনি শক্তিশালী শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। দেশের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে যেমন নারী এবং গ্রামীণ শিক্ষার উপর জোর দিয়েছিলেন ঠিক তেমনই ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে পাকিস্তান গঠনের বিরোধিতা করেছিলেন। তাই দেশের এমন এক গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় নেতার সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য সত্যি অনৈতিক। উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে কংগ্রেস সভাপতি হয়েছিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + 12 =