রাঁচি: পরিচারিকার উপর অকথ্য অত্যাচার৷ নির্মমভাবে মারধর৷ বাড়ির কাজে সাহায্যকারী আদিবাসী মহিলাকে লোহার রড দিয়ে মেরে দাঁত ভেঙে দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী সামী পাত্র। এমনকি মেঝেতে পড়ে থাকা প্রস্রাব চেটে পরিষ্কার করতেও তাঁকে বাধ্য করেছিলেন তিনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে সাসপেন্ড করে দল৷ বুধবার ওই বিজেপি নেত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
আরও পড়ুন- দৈনিক সংক্রমণ আরও কম দেশে, টিকাকরণ চলছে দাপটের সঙ্গে
জানা গিয়েছে ওই নেত্রীর ছেলের এক বন্ধুর কাছে বিষয়টি জানান ওই পরিচারিকা৷ এর পরেই সীমা পাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ৷ দীর্ঘ আট বছর ধরে সীমা পাত্রের বাড়িতে কাজ করছেন সুনীতা৷ সীমা প্রায়ই তাঁর পরিচারিকাকে মারধর করতেন৷ কথায় কাথয় গায়ে হাত তুলতেন৷ এমনকী গায়ে গরম ছ্যাঁকে দিতেও কুণ্ঠা করতেন না৷ ওই আদিবাসী মহিলার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও পোড়া দাগ মিলেছে৷
সাসপেন্ড হওয়া নেত্রী সীমা পাত্র ঘটনার সময় বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্য ছিলেন। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বেটি বঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পের এক জন অন্যতম আহ্বায়কও ছিলেন৷ কিন্তু, সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রাকশ্যে আসে৷ যা দেখার পরেই প্রাক্তন আইএএস কর্তার স্ত্রী সীমার বিরুদ্ধে পরিচারিকার উপর অত্যাচারের অভিযোগ দায়ের করা হয়৷
‘ভয়েস অব দলিতস’ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়৷ সেখানে সুনিতা নামের ওই আদিবাসী মহিলাকে দেখা যায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে৷ সেখান থেকেই কিছু একটা বলার চেষ্টা করছেন। তাঁর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। ভিডিয়োয় স্পষ্ট দেখা গিয়েছে ওই মহিলার দাঁত ভেঙে গিয়েছে। তাঁর শরীরজুড়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। সেই ভিডিয়োর বিবরণে তুলে ধরা হয় ওই মহিলার সঙ্গে ঘটে যাওয়া গত আট বছরের অত্যাচারের কথা। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই জানা যায়, গত আট বছর ধরে বিজেপি নেত্রী সীমার বাড়িতে কর্মরত সুনীতা। সেখানে প্রতিদিন তাঁকে অত্যাচার সহ্য করতে হত৷ এমনকী তাঁকে প্রস্রাব খেতে বাধ্য করা হত৷ শুধু তাই নয়, গরম লোহার রড, গরম চাটু দিয়ে শারীরিক অত্যাচার করা হত। লোহার রড দিয়ে মেরেই তাঁর দাঁত ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ৷ গোটা বিষয়টা মহিলা কমিশনে জানানোর পরই সীমাকে সাসপেন্ড করে দল৷ বুধবার গ্রেফতার হন বিজেপি নেত্রী৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>