NDA-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মু, জেনে নিন পরিচয়

NDA-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মু, জেনে নিন পরিচয়

নয়াদিল্লি: রামনাথ কোবিন্দের পর ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে? এই নিয়ে জল্পনা চলছিলই৷ বিরোধী দলগুলি তাঁদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে যশবন্ত সিনহার নাম প্রস্তাব করেছে৷ বিজেপি’র প্রার্থী তালিকায় দুটি নাম নিয়ে চর্চা চলছিল৷ কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু৷ অবশেষে দ্রৌপদীর নামেই সিলমোহর দেয় এনডিএ জোট৷ কিন্তু কে এই দ্রৌপদী মুর্মু? 

আরও পড়ুন- অগ্নিপথ বিতর্ক রুখতে এবার কেন্দ্রের পাশে আনন্দ মহিন্দ্রা, নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা

১৯৫৮ সালে ২০ জুন ওডিশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে জন্ম দ্রৌপদী মুর্মুর। বাবার নাম বিরাঞ্চি নারায়ণ টুডু। সক্রিয় রাজনীতিতে আসার আগে ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ওড়িশা সরকারের জলসম্পদ ও শক্তি দফতরে জুনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন দ্রৌপদী। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টারে সাম্মানিক শিক্ষিকা ছিলেন।

দ্রৌপদী তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে। কাউন্সিলর হিসাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল তাঁর৷ পরবর্তী সময়ে তিনি রায়রংপুরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন হন৷ ২০০০ এবং ২০০৪ সালে এই রায়রংপুর থেকেই বিজেপি’র টিকিটে দু’বার ভোটে জিতেছিলেন এই আদিবাসী নেত্রী৷ ওডিশার দু’বারের বিধায়ক দ্রৌপদী নবীন পট্টনায়েক সরকারের মন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি৷ বিজু জনতা দলের সেই সরকারকে সমর্থন করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি৷ পরিবহণ, মৎস্য এবং পশুপালনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব সঁপা হয়েছিল তাঁর হাতে৷ ২০০৭ সালে ওডিশার সেরা বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি৷ সম্মানিত হয়েছিলেন নীলকণ্ঠ পুরস্কারে৷ 

এর পর ঝাড়খণ্ডের নবম রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হন দ্রৌপদী৷ তিনিই ঝাড়খণ্ডের প্রথম রাজ্যপাল যিনি পাঁচ বছরের মেয়াদ পূরণ করতে পেরেছিলেন। যদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি জয়ী হন তাহলে ভারতে নতুন ইতিহাস রচিত হবে৷  প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি পাবে দেশ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সমীকরণ বলছে, ১৮টি বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী যশবন্ত সিনহার থেকে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, জম্মু ও কাশ্মীর সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপি’র প্রতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সমর্থন আরও বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। আদিবাসী ভোটের পাশাপাশি মহিলাদেরও ব্যাপক সমর্থন পাবেন গেরুয়া শিবির৷ যা ২০২৪-এ এনডিএ জোটকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির৷