নয়াদিল্লি: ২০১৬-র ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরের উরি সেক্টরে জঙ্গি নাশকতার ক্ষত আজও দগদগে। পাক মদতপুষ্ট ৪ জঙ্গির তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৯ জন ভারতীয় জওয়ান৷ বদলা নিতে পাল্টা অভিযান চালায় ভারত৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Pok)-এ ঢুকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার লঞ্চপ্যাড গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। সফল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সেরে দেশে ফেরেন তাঁরা। জানা যায়, এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নীল নকশা যাঁরা তৈরি করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম হলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত৷
আরও পড়ুন- সৈনিক বাবার সন্তান, শত্রুদের ত্রাস রাওয়াতের ‘সেনা জীবনের সফর’
২০১৬-র ১৮ সেপ্টেম্বর জঙ্গি হামালায় শহিদ ১৯ জওয়ানের রক্তের বদলা নিতে তৈরি হয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের রণকৌশল৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর, সেনাপ্রধান দলবীর সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ছাড়াও বেশ কয়েকজন সেনা কর্তা ওই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সম্পর্কে জানতেন৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিপিন রাওয়াত৷ সেনা সূত্রে খবর, ২০১৬-য় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় সেনার এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বর্তমান সিডিএস বিপিন রাওয়াত৷
তবে অনেকেই জানেন না যে, শুধু ২০১৬ নয়, ২০১৫-র আরও একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বর্তমান সিডিএস৷ ১০ বছর জঙ্গি বিরোধী অভিযানে অতিবাহিত করা রাওয়াত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন উত্তর-পূর্ব ভারতের সন্ত্রাস দমনে৷ মায়ানমারের NSCN-K জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযান চালিয়েছিলেন তিনি। রাওয়াতের তত্ত্ববধানে ভারতীয় সেনার ডিমাপুর বেস থেকে ওই অভিযান চালানো হয়েছিল৷প্রায় ৭০ জন কম্যান্ডর ওই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। ৪০ মিনিটের দুর্ধর্ষ অভিযানে খতম করা হয়েছিল ৩৮ জন নাগা জঙ্গিকে৷ মণিপুরের চান্দেলে ১৮ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই ওই সন্ত্রাসদমন অভিযান চালানো হয়েছিল৷