হায়দরাবাদ: দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা। দেশে ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে এক হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মারা গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা করছে। পুনের সেরাম জানিয়েছেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাসকিন তৃতীয় পর্যায়ে সফল হলে ডিসেম্বর থেকে পাওয়া যাবে। ভারতে বায়োটেকের কর্ণধার জানিয়েছেন, সব থেকে নিরাপদ ও বিশ্বমানের ভ্যাকসিম ভারতেই তৈরি হবে, তবে এই জন্য কোনও তাড়াহুড়ো করা হবে না৷
আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত প্রণব মুখোপাধ্যায়, আরোগ্য কামনা মমতার
কিন্তু পরিস্থিতি যাই হোক না কেন একদমই তাড়াহুড়ো করতে চায় না বায়োটেক। বায়োটেকের কর্ণধার কৃষ্ণা এল্লা জানিয়েছেন, আমাদের ওপর দ্রুত করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করার চাপ রয়েছে। তবে দ্রুত করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করতে গিয়ে মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারি না। কোভ্যাক্সিন যাতে নিরাপদ হয় ও গুণগত মান ভালো হয়, তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভুল ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে মারতে চাই না। তাই ভ্যাকসিন কবে আসবে তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। বায়োটেক ও আইসিএমআরের উদ্যোগে কোভ্যাক্সিন তৈরি করা হয়েছে। কোভ্যাকিসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। মানবদেহে প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষা শেষ হয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে। ভারতে বর্তমানে দুটো ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে।
আরও পড়ুন- UGC-র বিধি বদলাতে পারে না রাজ্য, পরীক্ষা মামলায় নয়া অবস্থান কেন্দ্রের
অক্সফোর্ড ও আমেরিকার একটি সংস্থার ভ্যাকসিন অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। অক্সফোর্ডের তৃতীয় পর্যায়ে হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, প্রথম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে রাশিয়া বুধবার নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে চলেছে। মাত্র ১৮ জনের শরীরে রাশিয়া করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে। তাছাড়া রাশিয়া তাদের ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা করেছে। তৃতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা করার আগেই বাজারে ভ্যাকসিন আনতে চলেছে।