নয়াদিল্লি: করোনাকালে কোপ পড়েছে মন্ত্রী, সাংসদদের বেতনেও৷ সাময়িকভাবে তাঁদের ৩০ শতাংশ বেতন কমানোর জন্য মঙ্গলবার সংসদে বিল পেশ করেছিল কেন্দ্র৷ সর্বসম্মতিক্রমেই মন্ত্রী বেতন, ভাতা ও পেনশন (সংশোধনী) বিল ২০২০ পাশ হয়ে যায় লোকসভায়৷
আরও পড়ুন- লাগাতার ৪১ দিন, করোনা সংক্রমণে বিশ্বশীর্ষে ভারত, উদ্বেগ বাড়িয়ে ৫০ লক্ষ পার
সংবিধানের ১০৬ নম্বর ধারায় ভারতীয় আইনপ্রণেতাদের নির্দিষ্ট বেতনের কথা বলা হয়েছে৷ কিন্তু আগামী এক বছরের জন্য বিল পাশ করিয়ে তাঁদের ৩০ শতাংশ বেতন কমানো হল৷ বুধবার রাজ্য সভায় পেশ করা হবে এই বিল৷ ১৯৫৪ সালের মন্ত্রী-সাংসদদের বেতন, ভাতা ও পেনশন আইনে সংশোধন করেই এই বিল আনা হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী সহ কতজন মন্ত্রী বেতন পাবেন, তা এই আইনেই নির্ধারেত হয়৷ করোনা পরিস্থিতিতে গত এপ্রিল মাসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাংসদ ও মন্ত্রীদের বেতন ৩০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী৷
আরও পড়ুন- ভুল খবরে আতঙ্ক, লকডাউনে তাই বাড়ির পথ ধরেন শ্রমিকরা, সংসদে দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
আগামী এক বছরের জন্য এই বেতন কাটা হবে বলে জানানো হয়েছে৷ ১ এপ্রিল থেকেই এটি কার্যকর করা হয়েছে৷ এর ফলে মন্ত্রী, সাংসদরা এতদিন ৬০ হাজার টাকা অফিসের ব্যায় ভাতা পেতেন৷ এখান তা কমে হয়েছে ৫৪ হাজার টাকা৷ এছাড়াও বেতন, ভাতা ও পেনশন (সংশোধিত) বিল, ২০২০ –তে কমানো হয়েছে নিয়ামক ভাতাও৷ প্রধানমন্ত্রীর নিয়ামক ভাতা ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২,১০০ করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে নিয়ামক ভাতা ২ হাজার থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৪০০ টাকা করা হয়েছে৷ একইভাবে প্রতিমন্ত্রী বা জুনিয়র মন্ত্রীদের নিয়ামক ভাতা কমে হয়েছে ৭০০ থেরে ১ হাজার টাকা৷
করোনার ধাক্কায় দেশে যে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তা মোকাবিলা করেতেই গত এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদদের বেতন থেকে ৩০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। সেই সময় বলা হয়েছিল, এই টাকা খরচ হবে করোনাভাইরাস এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলায়।