শিশু থেকে বৃদ্ধ, সারি দিয়ে ঝুলছে একই পরিবারের ৫ সদস্যের দেহ, খুন নাকি আত্মহত্যা?

শিশু থেকে বৃদ্ধ, সারি দিয়ে ঝুলছে একই পরিবারের ৫ সদস্যের দেহ, খুন নাকি আত্মহত্যা?

সমস্তিপুর: দুই শিশুসহ বাড়িতে একই পরিবারের ৫ সদস্যের বাস। আর সেই পাঁচজন সদস্য তথা সদস্যদের দেহ সম্প্রতি উদ্ধার করা হল ঝুলন্ত অবস্থায়। বিহারের সমস্তিপুরের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা খুনের ঘটনা নাকি নিছক আত্মহত্যা তা নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আর্থিক সমস্যার কারণেই আত্মহত্যা করেছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। তবে কারণ যাই হোক না কেন এই ঘটনার হাত ধরেই ফের একবার তাজা হয়েছে দিল্লির বুরারি কাণ্ডের স্মৃতি।

জানা যাচ্ছে, রবিবার বেলার দিকে বিহারের সমস্তিপুরের মৌ গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই পাঁচ জন সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তারা সকলেই ফ্যানের সঙ্গে কাপড় বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিলেন। এই ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা হলেন, মনোজ ঝাঁ, তার মা সীতা ঝাঁ, মনোজ এর স্ত্রী  সুন্দরমণি এবং মনোজের ৮ ও ১০ বছরের দুই ছেলে সত্যম কুমার এবং শিবম কুমার। তবে ওই পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য হিসেবে বেঁচে নিয়েছেন মনোজের মেয়ে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মনোজের মেয়ে পুলিশ আধিকারিকদের জানিয়েছেন, প্রচুর টাকা ঋণ ছিল তার বাবার। অন্যদিকে আর্থিক উপার্জনও তেমন না থাকায় কোনক্রমে টেনেটুনে দিন চলত। এমতাবস্তায়  মেয়ের বিয়ের জন্য তিন লক্ষ টাকা ধার করেন তার বাবা। কিন্তু সেই টাকা শোধ করার কোনো রকম ক্ষমতায় ছিল না তাদের। অন্যদিকে ঋণের ধার শোধ না হওয়ায় যার কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে ওই তরুণীর বাবা মনোজের ওপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছিল। এমনকি তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হত। আর তাই মনোজের মেয়ের অভিযোগ তার পরিবারের সদস্যরা কেউ আত্মহত্যা করেননি বরং ওই ঋণদাতাই তাদের গোটা পরিবারকে খুন করে এভাবে ঝুলিয়ে রেখে গিয়েছে। তবে পুলিশের অনুমান ঋণের দায়েই আত্মঘাতী হয়েছেন মনোজ, তার স্ত্রী, ছেলে এবং মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + seventeen =