পাটনা: বিহারের রাজনীতিতে পালা বদল৷ সমীকরণ বদলে পদ্ম ছেড়ে হাতে লন্ঠন নীতীশের৷ এনডিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে মহাগাটবন্ধনে ফিরছে নীতীশের জেডিইউ৷ বিহারে রাজনৈতিক বদল এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা৷ আজ বিকেলেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার৷ মঙ্গলবারই বিহারে এনডিএ সরকারের বিদায়ঘণ্টা বাজবে কিনা, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে পটনার অলিতেগলিতে।
আরও পড়ুন- এ বাজারে শুধুই মেলে ‘বর’! পয়সা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান কনেরা
দিন কয়েক আগে একই রকম টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মহারাষ্ট্রে৷ মহাবিকাশ আঘাডী সরকার ফেরে জোট বেঁধেছিল বিজেপি-শিবসেনা৷ কিন্তু সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই বিহারে এই নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে যাবে, তা হয়তো আন্দাজ করে পারেননি গেরুয়া শিবিরের ম্যানেজাররাও৷ দিল্লির সঙ্গে পটনার দূরত্ব বাড়িয়ে বিহারে এ ভাবে লন্ঠন জ্বালাবেন নীতীশ কুমার, সেটা ভাবতে পারেনি দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব৷
আরসিপি সিংকে নিয়ে বিজেপি-জেডিইউ সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হলেও সমস্যা আজকের নয়৷ এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া রং ঝেরে ফেলে নীতীশ হাত মেলালেন তেজস্বী যাদবের সঙ্গে৷ সেই সঙ্গে সুকৌশলে পাকা করে নিলেন অ্যানে মার্গের (বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন) ঠিকানা৷ অন্তত, এখনও পর্যন্ত বিহারের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি সে দিকেই ইঙ্গিত করছে।
এই পরিস্থিতিতে দেখে নেওয়া যাক পড়শি রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ৷ ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় জেডিইউয়ের বিধায়ক সংখ্যা ৪৫। অন্য দিকে, বিহারে একক বৃহত্তম দল তেজস্বীর আরজেডি-র কাছে রয়েছে ৭৯ জন বিধায়ক। রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বিজেপি’র বিধায়ক সংখ্যা ৭৭৷ এছাড়াও রয়েছে কংগ্রেসের ১৯, সিপিআইএমএল লিবারেশনের ১২ এবং জিতনরাম মাঝির হামের চার জন বিধায়ক৷ সিপিএম এবং সিপিআইয়ের মোট চার বিধায়ক রয়েছে। রয়েছে এক জন নির্দল ও একজন এআইএমআইএম বিধায়ক। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১২২ জনের সমর্থন৷ সে ক্ষেত্রে পূর্বতন মহাগটবন্ধনের হিসেব মেলালে আরজেডি, কংগ্রেস ও জেডিইউ-র মিলিত বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়াবে ১৪৩৷ যা ১২২-এর ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে অনেকটাই বেশি৷
পাশাপাশি রয়েছে সিপিআইএমএল লিবারেশন, সিপিএম ও সিপিআই-ও ৷ নীতীশকে সমর্থন জানাবে বলে আগেই জানিয়েছেন জিতনরাম মাঝির হাম৷ ফলে লন্ঠনের আলোয় অ্যানে মার্গের বাসভবন আলোকিত হয়ে ওঠাটা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″ height=”315″ frameborder=”0″>