নয়াদিল্লি: দুনিয়া জুড়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধক কিংবা ওষুধ তৈরিতে নিমগ্ন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। মাঝেমধ্যেই আসছে আশার খবর। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই ১০০ শতাংশ কার্যকারিতার খবর পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে জন্তু জানোয়ারের ওপর প্রয়োগ সফল হলেও মানুষের ওপর প্রয়োগ করা নিয়ে রয়েছে দ্বিধা। ভারতেও চলছে প্রতিষেধক খোঁজার কাজ। বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি ‘কোরোনিল’ নামক এক ওষুধ তৈরি করে দাবি করেছিল তাতে করোনা ভাইরাস নির্মূল হয়। কিন্তু তা সরকারিভাবে প্রমাণিত নয় এবং ইতিমধ্যেই রামদেব এবং পতঞ্জলি সংস্থার আরও দুই কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে ভুয়ো দাবির কারণে। এমতাবস্থায় বড় খবর এল ভারত বায়োটেক নামক এক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা থেকে। তাদের তৈরি প্রতিষেধক জুলাই মাসেই মানুষের ওপরে প্রয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক ফলাফল আশানুরূপ আসার পরেই দুই পর্বে (ফেজ-১, ফেজ-২) মানবদেহে প্রয়োগ করে দেখা হবে এই প্রতিষেধক। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) তরফে সেই অনুমতিও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে হায়দরাবাদ স্থিত ভারত বায়োটেক। তারা একা নয়, সোমবারের (২৯ জুন) বিবৃতিতে জানানো হয়েছে তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি)। এই তিন সংস্থার মিলিত প্রচেষ্টাতেই করোনা ভাইরাসের প্রথম স্বদেশি প্রতিষেধক তৈরি করা গেছে যা মানুষের ওপর প্রয়োগের অনুমতি পেল।
জুলাই থেকেই সারাদেশে শুরু হবে এই প্রতিষেধকের পরীক্ষা। ভারত বায়োটেক সংস্থার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণ এলা জানিয়েছেন, তাদের সংস্থা এই প্রতিষেধকের নাম রেখেছেন কোভ্যাক্সিন। আইসিএমআর এবং এনআইভি-র অবদানকেও যথাযথ সম্মান দিয়েছেন তিনি। সংস্থার যুগ্ম চেয়ারম্যান সুচিত্রা এলা বলছেন, প্রতিষেধক তৈরিকে তাঁরা ‘দেশের জন্য কাজ’ বলে মনে করেন। ভবিষ্যতে অতিমারি সামলাতে ভারত আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করছেন।