বেঙ্গালুরু: নিত্যদিনের জীবনযাত্রার গুনগত মান বিবেচনা করে দেশের মধ্যে সেরার তকমা পেল বেঙ্গালুরু। আর ছোট শহরগুলির মধ্যে সেরার স্বীকৃতি পেল সিমলা৷ তবে ডেটা সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতার জন্য পশ্চিমবঙ্গের কোনও শহরকে এর আওতায় আনা যায়নি।
গত বছরের সেরা শহর হিসেবে স্বীকৃত পুনেকে টপকে তালিকায় এক নম্বর স্থানটি দখল করে নিয়ে এবারের সেরার শিরোপা পেল বেঙ্গালুরু। এবছর পুনে দুই নম্বরে। তিন আমেদাবাদ, চার চেন্নাই, পাঁচ সুরাত, ছয় নভি মুম্বই, সাত কোয়েম্বাচুর, আট ভাদোদরা, নয় ইন্দোর এবং দশ নম্বর স্থানে রয়েছে গ্রেটার মুম্বই৷ এক মিলিয়নের বেশি লোকসংখ্যা রয়েছে এমন ৪৯টি শহরের মধ্যে একটি সার্ভে করা হয়৷ পাশাপাশি এক মিলিয়নের কম জনসংখ্যা বিশিষ্ট ৬২টি ছোট শহরের মধ্যে সার্ভে করা হয়৷ সেখানে সেরা হয়েছে সিমলা। দুই ভুবনেশ্বর, তিন সিলবাসা, চার কাকিনাড়া, পাঁচ সালেম, ছয় ভেলোর, সাত গান্ধিনগর, আট গুরুগ্রাম, নয় এবং দশ নম্বর স্থানে রয়েছে দাভানগেরে এবং তিরিচিরাপল্লি৷ ইউনিয়ন হাউসিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রক সূত্রে এমন তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি এই তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানান, লকডাউনের আগে পর্যন্ত করা সার্ভে রিপোর্টের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। মোট ১১১ শহরের মধ্যে সার্ভে করা হয়েছে৷ এই সার্ভেতে দেখা হয়েছে, এইসব এলাকায় মানুষের জীবনযাত্রার মান কেমন, ওখানে কতটা উন্নয়নমূলক কাজ করছে সরকার, ধনী-গরিবের জীবনযাত্রার মানের তফাৎ কমানো গিয়েছে কিনা। চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেই এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার গুনমান, আর্থিক স্বচ্ছলতা, স্থায়িত্ব এবং সিটিজেন সার্ভে। আর জীবনযাত্রার গুনমান সম্পর্কে বলা হয়েছে- বাসস্থান, স্বচ্ছ পানীয় জল, সাধারণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিকাঠামো, নিরাপত্তা ইত্যাদি। এর মধ্যে দেশের সবকটি শহরের মূল্যায়ন ১০০ নম্বরে করা হয়েছে। যার গড় নম্বর দেখা গিয়েছে ৫৩.৫। জীবনযাত্রার মানের দিকে বিচার করে শ্রীনগর এবং ধানবাদকে সবচেয়ে খারাপ বলা হয়েছে। তবে, দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ হলেও কোথাও ঠাঁই পায়নি বাংলার রাজধানী কলকাতা!