গবির চা-ওয়ালার নামে ৫০ কোটির ঋণের বোঝা! শুনেই ভিমরি চা-বিক্রেতার

গবির চা-ওয়ালার নামে ৫০ কোটির ঋণের বোঝা! শুনেই ভিমরি চা-বিক্রেতার

ad61c6323825c15a9469d06aeaff4150

চণ্ডীগড়: ছোটখাটো চায়ের দোকান তাঁর৷ সারা দিন চা বিক্রি করে যা উপার্জন হয়, তাই দিয়েই সংসার চালান হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের বাসিন্দা রাজকুমার৷  কিন্তু করোনা সংক্রমণের জেরে গত মার্চ মাস থেকে দীর্ঘ লকডাউনে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে৷ দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল রুজিরুটি৷ ঘরে জমানো অর্থও প্রায় শেষ৷ অবশিষ্ট কানাকড়ি দিয়ে যেমন তেমন করেই দিন চলছিল তাঁর৷ আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর ফের দোকান খোলেন রাজকুমার৷ কিন্তু এতদিনে যে ঘাটতি হয়েছে, তা আর সামাল দিয়ে উঠতে পারছিলেন না তিনি৷ অগত্যা লোনের আবেদন জানান ব্যাংকে৷ সেখানে গিয়েই যত গণ্ডগোল৷ 

রাজকুমার জানান, আর্থিক অবস্থা একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল তাঁর৷ নিরুপায় হয়েই ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ সেই মতো আবেদনও করেছিলেন৷ কিন্তু তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ৷ সাফ জানিয়ে দেয়, তাঁকে আর লোন দেওয়া যাবে না৷ রাজকুমার বলেন, ‘‘ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি আমি নাকি ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বসে আছি৷ তাই আমাকে আর ঋণ দেওয়া হবে না! আমি তো শুনে অবাক৷ ভাবতেই পারছি না এটা কী ভাবে সম্ভব৷’’ রাজকুমার জানান, এর আগে কোনও দিনই ব্যাংক থেকে লোন নেননি তিনি৷ কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এহেন কথায় মাথায় হাত তাঁর৷ লোন না নিয়েই তাঁর মাথায় চেপেছে ৫০ কোটি ঋণের বোঝা৷ এর পর কী হবে তা ভেবেই কূল পাচ্ছেন না কুরুক্ষেত্রের এই গরিব চা-ওয়ালা৷ 

তবে ঘটনাটি সামনে আসতেই নানাবিধ মন্তব্য ধেয়ে এসেছে টুইটারে৷ কেউ বলছেন, ‘‘হয় ওই চা-ওয়ালা মিথ্যে বলছেন, না হলে  ব্যাংক মিথ্যে বলছে৷ এত বড় ভুল হওয়া অসম্ভব৷’’ আবার কারোও কথায়, ‘‘একজন চা বিক্রেতার নামে ৫০ কোটি টাকার লোন ইস্যু করা হয়েছে৷ কী সম্পত্তি দেখিয়ে এই বিপুল অঙ্কের ঋণ পেলেন তিনি?’’ আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘‘সবই সম্ভব এই ভারতে!’’