পরীক্ষার মাঝেই মিশনারি স্কুলে বজরং দলের তাণ্ডব! পাথর ছুঁড়ে ভাঙা হল কাঁচ

পরীক্ষার মাঝেই মিশনারি স্কুলে বজরং দলের তাণ্ডব! পাথর ছুঁড়ে ভাঙা হল কাঁচ

ভোপাল: দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলছিল স্কুলে৷ পরীক্ষা চলার মাঝেই মিশনারি স্কুলে হামলা চালাল বজরং দল৷ ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলার গঞ্জ বসোদা শহরের৷ সেন্ট জোসেফ স্কুলে ঢুকে তাণ্ডব চালাল হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের কয়েকশো কর্মী৷ তাঁদের সঙ্গে স্কুলের গেটে জড়ো হয়ে স্লোগান দেয় শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা৷ পাথর ছুঁড়ে ভেঙে ফেলা হয় স্কুলের কাঁচ৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ৷ কোনও মতে স্কুলের পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মীদের বার করে আনে তারা৷ 

আরও পড়ুন- মুম্বইয়ে ‘বঙ্গভবনে’র প্রস্তাব! রাজ্যের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ মমতার

সেন্ট জোসেফ স্কুলে ছাত্রদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে এদিন স্কুলে হামালা চালায় কট্টর হিন্দু সংগঠনগুলি৷ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে যে সেন্ট জোসেফের 8 জন ছাত্রকে ধর্মান্তরিত করানো হয়েছে৷ তারপরই দলবল নিয়ে এই হামলা৷ সেলফোন ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিপুল সংখ্যক মানুষ স্কুলের বাইরে জড়ো হয়েছেন এবং তাঁরা ক্রমাগত স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সকলকে সরানোর চেষ্টা করছে৷ কোনও ভাবে স্কুল থেকে পালাতে সক্ষম হন পড়ুয়া, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা৷ বিক্ষোভকারীদের ক্রমাগত ইট ছুড়তেও দেখা গিয়েছে৷ যার জেরে একের পর এক স্কুলের জানালার কাচ ভেঙে যায়৷ পড়ুয়াদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ 

তবে এই ধরনের হামলা যে হতে পারে সে খবর তাঁদের কাছে ছিল বলে জানিয়েছেন স্কুলের ম্যানেজার ব্রাদার অ্যান্টনি৷ এই বিষয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে তাঁরা জানিয়ে রেখেছিলেন৷ কিন্তু তা সত্বেও পুলিশ যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি বলেও তাঁর অভিযোগ৷ সেই সঙ্গে স্কুলে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ অস্বীকার করেন অ্যান্টনি৷ তিনি জানান, যে নামের তালিকা তাঁদের দেওয়া হয়েছে, সেই নামে কোনও পড়ুয়া তাঁদের স্কুলে নেই। পুরো অভিযোগটিকেই ভিত্তিহীন৷ অন্যদিকে,  স্থানীয় বজরং দলের নেতা নীলেশ আগরওয়ালের দাবি, ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে হবে৷ তাঁর কথায়, “যদি তদন্তে দেখা যায় যে স্কুল ধর্মান্তকরণের সঙ্গে জড়িত, তাহলে স্কুল বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে৷” 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *