বালেশ্বর: ওড়িশায় ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনার ১ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও ওই দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুর্গন্ধ কিছুতেই যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই ওই লাইনে ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছে। অন্যান্য ট্রেনের মতো করমণ্ডল এক্সপ্রেসও নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। তবে যাত্রীদের সকলেই দাবি করছেন, ওই দুর্ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড দুর্গন্ধ পাচ্ছেন তারা। নাকে চাপা না দিয়ে থাকাই যাচ্ছে না। কিন্তু সেই দুর্গন্ধ কীসের, তা স্পষ্ট হচ্ছে না।
গত শুক্রবার বালেশ্বরের ওই জায়গাতেই করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাওড়াগামী বেঙ্গালুরুর ট্রেন এবং একটি মালগাড়িও। দুর্ঘটনায় মারা যান ২৮৮ জন। ওই স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সব মৃতদেহ। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, অধিকাংশ মৃতদেহ ছিল ক্ষতবিক্ষত। কাছের একটি স্কুলবাড়িতে সব মরদেহ সরিয়ে নিয়ে হয়েছিল বটে কিন্তু সেখানেও দুর্গন্ধ ছড়ায়। জানা গিয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যেই পচন ধরতে শুরু করেছিল মরদেহগুলিতে। তাহলে সেই কারণেই কি দুর্ঘটনাস্থলে এই দুর্গন্ধ? যদি তাই হয়ে থাকে তবে দেহগুলি সরিয়ে নেওয়ার এতদিন পরেও কেন গন্ধ থাকবে?
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”Bahanaga high school broke | আতঙ্ক বহাল, তাই ভাঙা হচ্ছে প্রাচীন ওড়িশা বালেশ্বরের বাহানগা হাই স্কুল” width=”853″>
মূল বিষয় হল, বাহানগা বাজার দুর্ঘটনাস্থল থেকে যে দুর্গন্ধ আসছে তা মরদেহের নয়, বরং ডিম পচার! দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের তরফে জানান হয়েছে, প্রায় তিন টন ডিম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসের পার্সেল ভ্যানে। দুর্ঘটনার সময় ওই বগিই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সব ডিম দুর্ঘটনাস্থলেই পড়ে গিয়েছিল। সেই ডিম পচে এখন দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। রেল এটাও নিশ্চিত করেছে, ওই এলাকায় আর কোনও মৃতদেহ পড়ে নেই।