ঠিক করে শ্বাস নিতেই জানে না, বলছে অক্সিজেন সঙ্কট! বিতর্কিত মন্তব্য রামদেবের

ঠিক করে শ্বাস নিতেই জানে না, বলছে অক্সিজেন সঙ্কট! বিতর্কিত মন্তব্য রামদেবের

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে গোটা দেশ আতঙ্কিত। দিন দিন বাড়ছে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার, এদিকে অক্সিজেনের আকালের মৃত্যু হচ্ছে একাধিক করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর। এই আতঙ্কের আবহে কার্যত করোনাভাইরাস রোগী এবং চিকিৎসকদের বিদ্রুপ করলেন বাবা রামদেব। তিনি দাবি করলেন, কেউ নাকি ঠিকমত শ্বাস নিতে জানে না, আর এদিকে বলা হচ্ছে অক্সিজেনের সঙ্কট! বাবা রামদেবের এই মন্তব্যের চরম ক্ষুব্ধ নেটিজেনদের একাংশ। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা।

ঠিক কী বলেছেন বাবা রামদেব? সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেখানে দেখা যাচ্ছে বাবা রামদেব তাঁর অনুষ্ঠানে মন্তব্য করছেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীরা ঠিকমতো শ্বাস নিতে জানে না আর এদিকে বলছে দেশে অক্সিজেনের আকাল। তিনি আরো বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে নেগেটিভিটি না ছড়িয়ে যদি সকলে তাঁর কথামতো চলে তাহলে সুস্থ হয়ে যাবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী। তিনি বলেছেন, তার দেখানো কয়েকটি যোগ ব্যায়াম এবং প্রাণায়াম করলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীরা সহজে ভালো হয়ে যাবেন। কিন্তু এখন তারা ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারেন না আর এদিকে অক্সিজেন সঙ্কট বলে দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। এর পাশাপাশি দেশের চিকিৎসক মহলকে কার্যত অপমান করে তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে পাঠিয়ে আসলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে কারণ সেখানে চিকিৎসা হয় না। এই মন্তব্যের পর এই কার্যত তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে পুলিশের। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডা: নভোজ্যোত সিং বাবা রামদেবের বিরুদ্ধে পুলিশে মামলা দায়ের করেছেন।

চিকিৎসক মহলকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা না মানার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। দাবি করেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা না মেনে কেউ যদি তার কথামতো চলে তাহলে করোনাভাইরাস হবে না আর যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা সুস্থ হয়ে যাবেন। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক দিকে রামদেব দাবি করেছিলেন, তার সংস্থা পতঞ্জলির আয়ুর্বেদিক ওষুধ করোলিন করোনা ভাইরাস মুক্ত করবে রোগীকে। সেই নিয়ে অন্য মাত্রার বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। ভিডিও: টুইটার

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *