কলকাতা: ‘অযোধ্যায় বিতর্কে রায় দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু, ন্যায় বিচার দেওয়া হয়নি৷’ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল সিপিএমের পলিটব্যুরো৷
অযোধ্যা বিতর্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় দানের অল্প কিছু পরেই পলিটব্যুরো জানিয়েছিল, রায় প্রশ্নের উর্ধে নয়৷ সেক্ষেত্রে, পলিটব্যুরো থেকে এই বিবৃতি প্রত্যাশিত ছিল৷
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পলিট ব্যুরো এও জানিয়েছিল যে, ওই রায়কে ব্যবহার করে এমন কোনও উস্কানিমূলক আচরণ থেকে দূরে থাকতে হবে৷ এমন কিছু করা উচিত হবে না যে, সেই কারণে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়৷ সোমবার অবশ্য সেই বিবৃতি অপরিবর্তিত রেখেছে পলিটব্যুরো৷
সোমবার, সিপিএমের পলিটব্যুরো বলেছে, পার্টি বরাবরই আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের পক্ষে ছিল৷ কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের নির্দিষ্ট কিছু অংশ প্রশ্নের উর্ধে নয়৷
পলিটব্যুরোর সাফ বক্তব্য, আদালত যখন বলছেই, বিশ্বাসের ভিত্তিতে বিচার হয় না, তখন বিশ্বাসের ভিত্তিতেই কি করে একপক্ষকে রায় দেওয়া হলো বোঝা যায়নি৷
পলিটব্যুরোর বক্তব্য, বিশ্বহিন্দু পরিষদ ১৯৮৯ সালে মামলা করে৷ তারাই বাবরি মসজিদ ভাঙার পিছনে রয়েছে৷ রামলাল বিরাজমান হিসাবে তারাই মামলায় জিতেছে৷ সুতরাং রায় গিয়েছে মূল অভিযুক্তের পক্ষে৷
সিপিএমের বক্তব্য, বাবরি মসজিদ ভাঙার কান্ডারিদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হোক৷ অন্যদিকে, আগের মতোই, ১৯৯১ সালের ধর্মাচরণের স্থান সংক্রান্ত আইনের প্রশংসা করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ যার অর্থ, ধর্মীয় স্থান সংক্রান্ত বিরোধ আবার সামনে আনা যাবে না৷ ব্যবহারও করা যাবে না৷ রাজনৈতিক দলগুলোকে তা মনে রাখতে হবে বলে মনে করে সিপিএম৷
দিল্লিতে একে গোপালন ভবনে ১৬ এবং ১৭ নভেম্বর পলিটব্যুরোর বৈঠক বসেছিল৷ সেই বৈঠকের পর এই বিবৃত দেওয়া হয়েছে৷