আরও বাড়ছে ব্যাংকে টাকা রাখার খরচ, পয়লা এপ্রিল থেকে কার্যকর নয়া চার্জ

পয়লা এপ্রিল ২০২০ থেকে সঞ্চয় বা লেনদেন সব ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হবে অ্যাক্সিস ব্যাংকের গ্রাহকদের।

নয়াদিল্লি: সমস্ত স্কিমের নগদ লেনদেন ফি, সহজ এবং সমমানের প্রকল্পগুলির জন্য মূল্য নির্ধারণ এবং লেনদেন ব্যর্থতার ফি প্রবর্তন সহ একাধিক সংশোন আনতে চলেছে অ্যাক্সিস ব্যাংক। ফলে পয়লা এপ্রিল ২০২০ থেকে সঞ্চয় বা লেনদেন সব ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হবে অ্যাক্সিস ব্যাংকের গ্রাহকদের। 

প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে অবহিত করতে গ্রাহকদের মোবাইল নম্বরে একটি টেক্সট মেসেজ পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। যেখানে লেখা আছে “মনোযোগ দিন! আপনার সঞ্চয় / বেতন অ্যাকাউন্টে প্রযোজ্য ফি এবং চার্জগুলি পরিবর্তন করা হয়েছে৷

 'ইন্ট্রোডাকশন অফ ফি অন নেগেটিভ বিহেভিয়ার': অর্থাৎ, ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় এটিএম-এ লেনদেন  ব্যর্থতার জন্য এখন থেকে নিজস্ব এটিএম-এও মাশুল গুনতে হবে অ্যাক্সিস ব্যাংকের গ্রাহকদের। প্রতিটি ব্যর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে ২৫ টাকা করে কাটা যাবে। 

ব্যাংকের নিজস্ব ওয়েবসাইটে 'ইনট্রোডাকশন অফ ফি অন নেগেটিভ বিহেভিয়ার' শীর্ষক বিজ্ঞপ্তিতে এইধরণের চারটি অভিযোগের ক্ষেত্রে কি পরিমানে টাকা হবে তা বিশদে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফেয়ার ইউসেজ ফিজ অন ব্রাঞ্চ ট্রানজ্যাকশন:  অর্থাৎ, ব্যাংকে লেনদেনের সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্যও অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে গ্রাহকদের। যার মধ্যে রয়েছে, নগদ জমা টাকা(ব্রাঞ্চ ক্যাশ), বাহ্যিক ছাড়পত্র (আউটওয়ার্ডস ক্লিয়ারিং), তহবিল স্থানান্তর(ফান্ড ট্রান্সফার), আরটিজিএস / এনইএফটি এবং রেমিট্যান্স।

এরমধ্যে ১৫ টি লেনদেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হলেও ১৬তম লেনদেন থেকে প্রতিবার ৭৫টাকা করে নেওয়া হবে।

অ্যাক্সিস ব্যাংকে প্রারম্ভিক জমা টাকার পরিমাণ হবে- মেট্রো শহর ও শহরাঞ্চলে ন্যূনতম ১৫,০০০টাকা। শহরতলিতে ন্যূনতম ৬,০০০টাকা। গ্রামাঞ্চলে ন্যূনতম ২,৫০০টাকা।অ্যাক্সিস ব্যাংকে গড়ে জমা টাকার পরিমাণ হতে হবে মেট্রো শহর ও শহরাঞ্চলে ন্যূনতম ১০,০০০টাকা।শহরতলিতে  ন্যূনতম ৫,০০০টাকা। গ্রামাঞ্চলে ন্যূনতম ২,৫০০টাকা। মেট্রো শহরগুলিতে গড়ে জমা টাকার পরিমাণ হতে হবে ন্যূনতম ১০,০০০টাকা।

এক্ষেত্রে মেট্রো শহর ও শহরাঞ্চলে গড়ে জমা টাকার পরিমাণ নির্দিষ্ট পরিমানের (১০,০০০টাকা) তুলনায় কমে গেলে প্রতি ১০০টাকায় ১০ টাকা হিসেবে, নূন্যতম ১০০টাকা থেকে ৫০০টাকা পর্যন্ত চার্জ দিতে হবে। শহরতলিতে গড়ে জমা টাকার পরিমাণ নির্দিষ্ট পরিমানের (৫,০০০টাকা) তুলনায় কমে গেলে প্রতি ১০০টাকায় ১০ টাকা হিসেবে, নূন্যতম ১০০টাকা থেকে ৩০০টাকা পর্যন্ত চার্জ দিতে হবে। গ্রামাঞ্চলে গড়ে জমা টাকার পরিমাণ নির্দিষ্ট পরিমানের (২,,৫০০টাকা) তুলনায় কমে গেলে প্রতি ১০০টাকায় ১০ টাকা হিসেবে, নূন্যতম ১০০টাকা থেকে ২৫০টাকা পর্যন্ত চার্জ দিতে হবে। প্রতি ক্ষেত্রেই অ্যাকাউন্টে গড়ে জমা টাকা নির্দিষ্ট পরিমাণে পৌঁছলে  এই চার্জ নেওয়া বন্ধ হবে। সঞ্চয় এবং স্থায়ী আমানতের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে শুধুমাত্র গ্রামীণ এলাকার ক্ষেত্রে ২৫,০০০টাকা (সর্বনিম্ন ৬ মাসের জন্য) বজায় রাখতে হবে।

ডেবিট কার্ডের চার্জ- প্রাইমারি ডেবিড কার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে চার্জ ৩০০টাকা। ডেবিট কার্ডের জন্য বাৎসরিক ফি মেট্রো শহর, শহরাঞ্চল ও শহরতলিতে ৩০০টাকা এবং গ্রামাঞ্চলে ২০০টাকা।

যৌথ ডেবিট কার্ডের চার্জ- কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে চার্জ ২০০টাকা। যৌথ ডেবিট কার্ডের জন্য বাৎসরিক ফি মেট্রো শহর, শহরাঞ্চল ও শহরতলিতে ২০০টাকা এবং গ্রামাঞ্চলে ১০০টাকা।

'মাই ডিজাইন কার্ড'- কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে প্রকৃত ডেবিট কার্ড ইস্যুর চার্জের সঙ্গে অতিরিক্ত ১৫০টাকা দিতে হবে।

চিপ ও পিন যুক্ত ডেবিট কার্ড – কার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রকৃত ডেবিট কার্ড ইস্যুর চার্জের সঙ্গে অতিরিক্ত ৫০টাকা দিতে হবে।

অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ক্ষেত্রে ৫০০টাকা চার্জ করা হবে। তবে অ্যাকাউন্ট খোলার নূন্যতম ১৪ দিনের মধ্যে বা একবছর হয়ে যাওয়ার পর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চাইলে কোন চার্জ নেওয়া হবে না।

নতুন ফি কাঠামো সম্পর্কে আরও জানতে, এখানে ক্লিক করুন https://application.axisbank.co.in/feesandchargemaster/feesandcharges.aspx।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 1 =