নয়াদিল্লি: তৃতীয় বারের জন্য দিল্লির গদিতে বসতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সত্তরের মধ্যে বাষট্টিটি আসনে জিতে তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মসনদে বসছে আপ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির বিধায়ক ও সাংসদরা ছাড়া শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ডাক পাননি তেমন বড় কোনও নেতা-মন্ত্রী। তবে বিজেপি বিরোধী কোনও দলের কোনও নেতার নাম অতিথি তালিকায় নেই বলে জানা গিয়েছে। নেই অন্য রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রীর নামও। তার জায়গায় রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল থেকে কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, চিকিত্সিক, পরীক্ষায় শীর্ষ স্থানাধিকারী পড়ুয়া, অটো চালক, এবং সাফাইকর্মীদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দিল্লির ৭ জন সাংসদ এবং সদ্য নির্বাচিত ৮ বিজেপি বিধায়ককের কাছেও গিয়েছে আমন্ত্রণপত্র। বারাণসীতে পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান থাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।
অ
কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা ভিন রাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এই অনুষ্ঠানে। রামলীলা ময়দানে মঞ্চের সামনে বসার জন্য প্রায় ৪৫ হাজার চেয়ারের বন্দবস্ত থাকছে। পাশাপাশি রামলীলা ময়দানের বিভিন্ন প্রান্তে বসানো থাকছে ১২টি এলইডি ডায়ান্ট স্ক্রিন। এখানে চোখ রেখেও দেখা যাবে শপথগ্রহণের গোটা অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১ লক্ষ লোকের জমায়েত হবে বলে মনে করছে আপ নেতৃত্ব। তাই এখানে আগত সকলেই যাতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দেখতে পারেন, তার সুষ্ঠ আয়োজন রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরেছেন কেজরীবাল। মণীশ সিসৌদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন, গোপাল রাই, কৈলাস গহলৌত, ইমরান হুসেন, রাজেন্দ্র গৌতমের মতো নেতাদের এ বারেও কেজরিওয়ালের সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হাতে পাবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। সেই সঙ্গে অতিশী মারলেনা এবং রাঘব চাড্ডারাও মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন বলে জল্পনা। এ নিয়ে আপের তরফে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি যদিও, তবে শনিবার রাতেই সম্ভাব্য মন্ত্রীগোষ্ঠীকে নিয়ে বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেন কেজরিওয়াল। সেখানে আগামী পাঁচ বছর কোন পথে কাজকর্ম এগোবে, প্রথম তিন মাসে কোন ক্ষেত্রগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে।