কলকাতা: ইচ্ছা আর জেদ থাকলে কী না হয়! প্রমাণ করলেন বয়স চৌষট্টির ব্যক্তি। সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করলেন তিনি। এত বেশি বয়সে NEET পাস করা সহজ কথা নয়। আর সেটাই করে দেখালেন ওড়িশার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী জয় কিশোর প্রধান। এখানেই শেষ নয়। ওড়িশার বীর সুরেন্দ্র সাঁই ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের প্রথম বর্ষে ভর্তিও হয়েছেন তিনি।
এ পরীক্ষায় পাস করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বহু তরুণ তরুণী। সেই NEET উত্তীর্ণ হয়ে দেখালেন তিনি। প্রমাণ করলেন বয়স কোনও বাধাই নয়। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি ম্যানেজার পদে চাকরি করছেন জয় কিশোর প্রধান। কিছুদিন আগেই অবসর নিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই তাঁর NEET-এর প্রস্তুতি শুরু। তিনি জানান, ISC পরীক্ষায় পাস করার পরই তিনি জয়েন্ট এন্ট্রান্সে মেডিক্যাল পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু পাস করতে পারেননি। তাই সায়েন্স নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেন তিনি। বিএসসি পাস করার পর একটি স্কুলে চাকর পান। সেই চাকরি করার সময়ই ব্যাঙ্কের পরীক্ষা দেন। ১৯৮৩ সালে স্টেট ব্যাঙ্কে চাকরি পান। কিন্তু মেডিক্যাল পরীক্ষার কথা তখনও তাঁর মাথায় ছিল।
২০১৬ সালে তিনি অবসর নেন। তারপর থেকেই NEET-এর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু। এবছর সেই পরীক্ষায় পাস করেছেন তিনি। জয়বাবু জানান, পাস করে বের হওয়ার পর তিনি চাকরি নাও পেতে পারেন। কিন্তু গরিবদের চিকিৎসা করতে তো কোনও বাধা নেই। সেটাই করতে চান তিনি। কিন্তু পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে বয়সের কোনও সীমা নেই? বীর সুরেন্দ্র সাঁই ইনস্টিটিউট অH মেডিক্যাল সায়েন্সের ডিন জানিয়েছেন, MBBS-এ ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের কোনও সীমা নেই। তাই তাঁর ডাক্তারি পড়ার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা নেই। এই সেশন থেকেই ক্লাস করবেন তিনি। জয় কিশোরের দুই মেয়েও NEET-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিছুদিন আগে তাদের একজনের মৃত্যু হয়। জয়বাবু জানান, ডাক্তার হয়ে মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করবেন তিনি।