গুয়াহাটি: অসমে করোনা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। প্রথম দিকে অসমে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ধীরে ধীরে তা অবনতির দিকে যাচ্ছে। অসমে সব থেকে খারাপ অবস্থা গুয়াহাটির। গুয়াহাটিতে করোনা মহামারীর আকার ধারণ করতে চলেছে বলে অসম সরকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে নয়া সিদ্ধান্ত নিল অসম সরকার। করোনা সংক্রমণকে রোধ করতে বেশি করে পরীক্ষা ও আইসোলেশনের সংখ্যাও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। করোনা রোধ করতে সমস্ত বিশেষজ্ঞরা এই পন্থা অবলম্বনের কথাই বলেছেন ।
প্রতি ১০ লক্ষে কত জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, সেই বিষয়ে ভারতে অসম চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। প্রথমে থেকেই অসমে করোনা পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, অসমে প্রতি ১০ লক্ষে ১৩,৪৭১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব থেকে বেশি দিল্লিতে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দিল্লিতে প্রতি ১০ লক্ষে ৩২,৮৩৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরপরেই অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু রয়েছে। রবিবার পর্যন্ত অসমে ৪.৫৯ লক্ষ করোনা পরীক্ষা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার গুয়াহাটিতে ৭৭৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এক বিবৃতিতে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, গুয়াহাটিতে যত জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার ৩০ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা পাওয়া গিয়েছে। এতেই তিনি মনে করছেন, গুয়াহাটিতে সম্ভবত কমিউনিটি ট্রান্সমিশ হয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর পর্যায়ে অসম বিশেষ করে গুয়াহাটি পৌঁছে গিয়েছে। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় অসমে ১,২০০ জনের বেশি শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবানু পাওয়া গিয়েছে। গুয়াহাটিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে ২৯ জুন থেকে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের পথে হেঁটেছে। পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে লকডাউনেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়।