গুয়াহাটি: অসমে করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। অসমে বন্যায় প্রায় ৩০ জন মারা গিয়েছেন। ১৫ লক্ষ মানুষ বন্যায় প্রভাবিত হয়েছেন। অসম বন্যায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও পবিতোরা ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়েরি। এই দুটো এলাকায় ৯০ শতাংশের বেশি এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বন্যার জেরে বন্যপ্রাণীদের সব থেকে বেশি অসুবিধা হচ্ছে। গণ্ডারের মতো পশু কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কের অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। জাতীয় উদ্যানের মধ্যে এই সব উঁচু জায়গা কৃত্রিমভাবে মানুষ তৈরি করেছে। হরিন ও ভাল্লুকের মতো পশুরাও সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছু বন্য পশু কারবি আংলং পার্বত্য অঞ্চলের দিকে সরে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া একটি গ্রামে বাঘ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এই বিষয়ে বনদপ্তরকে খবর দেওয়া হলে, তারা দ্রুত বাঘটিকে উদ্ধার করে। ওই গ্রামে বাঘের আঘাতে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে।
কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের তরফে জানানো হয়েছে, এই বন্যায় মোট ৪৭ জন পশু মারা গিয়েছে। তার মধ্যএ ৪১টি হরিণ, তিনটি বন্য শূকর রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক জলের তলায় চলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পবিতোরা ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়েরির তরফে জানানো হয়েছে, ৮০ শতাংশ জলের নীচে জলে গিয়েছে। দুই মাসের মধ্য পবিতোরা ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়েরি তিন বার বন্যার কবলে পড়ল। বন্যার তোড়ে এক শৃঙ্গ গণ্ডার ভেসে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেশের মধ্যে অসমে সব থেকে বেশি একশৃঙ্গ গণ্ডার পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে।