নয়াদিল্লি: ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষ৷ দেশের অখণ্ডতা রক্ষা করতে গিয়ে গালওয়ান উপত্যকায় শহিদ হয়েছেন দেশের ২০ জওয়ান৷ পরিবারকে ফোন করে শোনানো হয়েছে স্বজন হারানোর দুঃসংবাদ৷ কিন্তু, সামান্য নামের বিভ্রাট জীবিত জওয়ানকে এক ফোনে দেওয়া হল শহিদ তমকা৷ সোনা অফিস থেকে এক ফোনে শোকে পাথর করে দিয়েছিল গোটা পরিবারকে৷ কিন্তু, বিষন্ন রাত শেষ হতেই দ্বিতীয় ফোনে প্রাণ পেলেন স্বজন হারাতে বসা পরিবার৷
সর্বভারতীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে ভারতীয় সেনা অফিস থেকে বিহারের সারন জেলার পারসা ব্লকের দিঘরা গ্রামের সুনীল কুমার নামের এক জওয়ানের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার হামলায় শহিদ হয়েছেন সুনীল৷ ফোনে দুঃসংবাদ শুনে শোকে পাথর করে দিয়েছিল গোটা পরিবারকে৷ শুরু হয়েছে যায় হাহাকার৷ শোকসংবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে৷ প্রতিবেশীরাও ছুটে যান সুনীল পরিবারের পাশে দাঁড়াতে৷ শুরু হয়ে যায় প্রশাসনিক প্রস্তুতি৷ হাজির হয়ে যান স্থানীয় বিধায়ক চন্দ্রিকা রাই৷ শহিদের দেহ ফেরানো থেকে শেষকৃত্যের সমস্ত খুঁটিনাটির প্রস্তুতি চলতে থাকে বুধবার রাতের পর থেকে৷ শোকের গভীরতা সঙ্গে বাড়তে থাকে রাত৷ স্বজন হারানোর যন্ত্রণা তখনও দু’চোখ এক করতে পারেনি পরিবার৷
কিন্তু, বৃহস্পতিবার সকালটা যে সবকিছু বদলে দেবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি সুনীল কুমার পরিবার৷ বুধবার যে ফোন সব কিছু কেড়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সেই ফোন ফিরিয়ে দিয়েছে আনন্দ৷ লাদাখে সেনার অফিস থেকে আসা ফোন মুহূর্তের মধ্যে দূর হয়ে যায় সমস্ত গ্লানি ও শোক৷ ফোনের ওপার থেকে পরিবারকে জানানো হয়, সুনীল কুমার নন, রেজিমেন্টের অন্য এক জওয়ান সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন৷ নাম বিভ্রাটের কারণে পরিবারকে মৃত্যুসংবাদ পাঠানো হয়েছিল৷ কিন্তু, সুনীল কুমার শহিদ হননি৷ তিনি সুস্থ এবং অক্ষত আছেন৷
ওই ফোনে বাড়ির সকলে আনন্দিত ওঠেন৷ স্বজন হারানো যান্ত্রণা থেকে মুক্তি পান সুনীলের স্ত্রী মেনকার৷ প্রাণ ফিরে পায় পরিবার৷ সেনার অফিস থেকে ফোনে বিভ্রান্তির কথা জানানো পর কয়েক ঘণ্টা পর সুনীল নিজে ফোন করেন৷ স্বামীর চেনা গলার শব্দ শুনে আনন্দাশ্রুতে ভাসেন মেনকা৷ ধরে রাখতে পারেননি আগেব৷ চিকিৎসার করে উঠে জানিয়ে দেন, ‘ওঁ সুস্থ আছে৷ ভালো আছে৷’