চিকিৎসক, নার্স-সহ সব স্বাস্থ্যকর্মীদের ‘ভারতরত্ন’ দেওয়া হোক! আওয়াজ তুললেন কেজরি

চিকিৎসক, নার্স-সহ সব স্বাস্থ্যকর্মীদের ‘ভারতরত্ন’ দেওয়া হোক! আওয়াজ তুললেন কেজরি

নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন তারা দিন রাত এক করে। এখনো পর্যন্ত বহু চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে। কিন্তু সাধারণ মানুষের চিকিৎসা থেকে নিজেদের বিরত রাখছেন না কেউ। এই চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ভারতরত্ন দেওয়া হোক, এমন দাবি তুললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, এবারের ভারতরত্ন কোন এক চিকিৎসককে দেওয়া হোক। একজন চিকিৎসককে দেওয়া মানে গোটা স্বাস্থ্য সমাজকে সম্মানিত করা হবে। ‌ এক কথায় তিনি দাবি তুলেছেন যে চিকিৎসক এবং নার্স থেকে শুরু করে সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে ভারতরত্ন দেওয়া হোক। কেজরিওয়ালের বক্তব্য, এখনো পর্যন্ত বহু চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং তাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে তার থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।  প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখনো পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার চিকিৎসক মারা গিয়েছেন। এর পাশাপাশি অসংখ্য স্বাস্থ্য কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাই এই ঘটনাকে সামনে রেখেই স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মানিত করার বার্তা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। 

আরও পড়ুন: টিকাপ্রাপ্ত করোনাজয়ীদের ‘ডেল্টা’ ঠেকানোর ক্ষমতা বেশি! দাবি করছে ICMR

করোনাভাইরাস প্রথম ঢেউয়ের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে দেশের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মান দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই প্রদীপ জ্বালানো থেকে শুরু করে বায়ুসেনার আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি, এমনকি থালা বাজানোর মতো ঘটনা চাক্ষুষ করেছে দেশবাসী। তবে আদতে কি এইভাবে স্বাস্থ্য সমাজকে সম্মানিত করা সম্ভব, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তবে এখন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ হয়তো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন করবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *