নয়াদিল্লি: ডায়মণ্ডহারবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয় হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। হামলার পর ওই কনভয়ের নিরাপত্তায় থাকা তিনজন আইপিএস অফিসারকে নতুন পোস্টিং ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যদিও এ ব্যাপারে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছিল নবান্ন। তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, যে ঘটনা সেদিন ঘটেছে তার তদন্ত ইতিমধ্যেই করা হচ্ছে। কিন্তু এই বিরোধিতার পাত্তা না দিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ নিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই ঘটনায় এবার বাংলার সরকারের পাশে দাঁড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।টুইট করে তিনি এই ঘটনায় বিরুদ্ধে মুখ খুলে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। এইভাবে রাজ্যের ব্যাপারে হস্তক্ষেপের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করেন তিনি।
এই বিষয়ে টুইট করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল জানান, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের তিনি তীব্র নিন্দা করছেন। নির্বাচনের ঠিক আগে এইভাবে রাজ্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর উপর আঘাত আনার সমান। এর আগে একাধিক ইস্যুতে কেজরিওয়াল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একসঙ্গে বিজেপির বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে। মূলত ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই একসঙ্গে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার প্রক্রিয়ায় সামিল ছিলেন দুজনেই। সেই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সম্পর্ক যে যথেষ্ট ভালো তা বলাই বাহুল্য। এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে সমর্থন করে তিনি এই ঘটনাকে রীতিমতো জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করলেন।
জানা গিয়েছে, যে ৩ পুলিস আধিকারিকের নতুন পোস্টিং দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রাজীব মিশ্রকে পাঠানো হয়েছে আইটিবিপিতে। প্রবীণ ত্রিপাঠিকে পাঠানো হয়েছে এসএসবিতে। আর ভোলানাথ পান্ডেকে নতুন পোস্টিং দেওয়া হয়েছে কেবিপিআরডিতে। সব পোস্টিং আগামী পাঁচ বছরের জন্য। মার্ডার কর্মসূচির দায়িত্বে ছিলেন এই তিনজন আইপিএস অফিসার। সেই কারণে কনভয় হামলার ঘটনার পরেই এই তিনজনের কাছ থেকে ডেপুটেশন চাওয়া হয় কেন্দ্রীয় তরফে। যদিও রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, রাজ্যে আইপিএস এবং আইএএস অফিসারের সংখ্যা কম, তাই ওই তিনজনকে কোনভাবেই রিলিজ করা যাবে না। যদিও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের কোনরকম বিরোধীতাকে পাত্তা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও নিয়ম অনুযায়ী এইভাবে ডেপুটেশনে যেকোনো আইপিএস অফিসারকে ডেকে নিতে পারে কেন্দ্র, কিন্তু তার জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তবে রাজ্যর আপত্তি থাকলে ডেপুটেশন চাওয়া হয় না। এ ব্যাপারে এইজন্যই কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার।