নয়াদিল্লি: ২০১০-২০১৯৷ শেষ দশকে রাজনীতির ময়দানে নাম কিনেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি বা আপ৷ বিশ্লেষকদের মতে, এমন একটি রাজনৈতিক দল যা, জাতপাত, এলাকা বা কোনও নির্দিষ্ট মতাদর্শের ভিত্তিতে তৈরি হয়নি৷ দেশের তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতিতে আকর্ষিত করিয়েছে৷ দল তৈরি করেছে, বিভিন্ন পেশার প্রতিষ্ঠিত মানুষকে নিয়েই৷ শুরুর দিকে অনেকেরই মনে হয়েছিল, এই ভাবেও রাজনীতি করা যেতে পারে? কেজরিওয়াল করেই দেখাল৷
ভারতবর্ষের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বেশিরভাগই এলাকা ভিত্তিক, জাতপাত বা নির্দিষ্ট মতধারাকে আশ্রয় করে রাজনীতি করে আসছে৷ একটি নির্দিষ্ট ভোটব্যাংকে কেন্দ্র করেই তারা বিকশিত হয়েছে৷ কিন্তু, দুর্নীতির কোনও রাজনৈতিক আন্দোলনকে খাড়া করে রাজনৈতিক দল দাঁড় করিয়েছেন, সাম্প্রতিককালে কেজরিওয়াল ছাড়া এমন উদাহরণ কই৷
অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লিকে কেন্দ্র করেই রাজনীতি করেছেন৷ কিন্তু, কেউ বলতে পারবেন কী, উনি জাতীয় রাজনীতিতে নেই? তা একদমই নয়৷ জাতীয় রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম হয়ে উঠেছেন কেজরিওয়াল৷ কিন্তু, দিনের শেষে আপনাকে স্বীকার করতেই হবে, প্রথাগত রাজনীতিক নন অরবিন্দ৷ আইআইটি এর এই প্রাক্তনী-কে রাজনীতিক হিসাবে অনেকেই মানতে চাননি৷
২০১০ সালের ১২ নভেম্বর আম আদমি পার্টি আত্মপ্রকাশ করে৷ তবে ২০১০ থেকেই এই বিষয়টি চর্চার মধ্যে ছিল৷ প্রেক্ষাপটটিও মনে রাখা জরুরি৷ ২০১০ সালে ইউপিএ, বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে৷ কিন্তু ওই সময়, বিজেপি যে অতি শক্তিশালী তা বলা যাবে না৷ কারণ, নরেন্দ্র মোদী জাতীয় রাজনীতির মাথায় আসেননি৷ অমিত শাহও হয়ত উত্তরপ্রদেশ সামলাচ্ছেন৷ সেই সময় এক ভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে কেজরিওয়ালের উত্থান৷
অন্য একটি ঘটনাও মনে রাখার মত৷ সেই সকম, নীরা রাদিয়া টেপ ফাঁস হয়েছে৷ রাজনৈতিক থেকে কর্পোরেট কর্তা, অনেকেরই মুখোশ খুলে গিয়েছে৷ দেশ বোধহয় এমন একজনকে দেখতে চাইছিল, যিনি সব কিছুর বাইরে৷ রাজনীতিতে নতুন, ক্ষমতার স্বাদ না পাওয়ার কেজরিওয়াল, অন্না হাজারের আন্দোলনের মাঝে থেকেই উঠে এলেন৷ এর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে হয়নি,বর্তমান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কে৷ প্রথম মন্ত্রিসভায় গিয়েছিলেন, দিল্লি মেট্রো চড়ে৷