সোফা বেচতে গিয়ে ৩৪ হাজার টাকা খোয়ালেন কেজরিওয়ালের মেয়ে! চাঞ্চল্য দিল্লিতে

সোফা বেচতে গিয়ে ৩৪ হাজার টাকা খোয়ালেন কেজরিওয়ালের মেয়ে! চাঞ্চল্য দিল্লিতে

1407f0e2df8cf81ec65345cb02c4ed2f

নয়াদিল্লি: কলকাতা পুলিশের নতুন নগরপালের দায়িত্ব পেয়ে সৌমেন মিত্র বলেছিলেন আজকাল অপরাধের ধরণ বদলে গিয়েছে, বেড়েছে সাইবার অপরাধের রমরমা। তার কথা যে খুব ভুল নয় তা স্পষ্ট হল খোদ দেশের রাজধানীতে সাইবার দুনিয়ার বাড়বাড়ন্তের আরও এক ছবিতে। অনলাইন প্রতারণার শিকার হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মেয়ে।

আরও পড়ুন-লালকেল্লা হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দীপ সাধু গ্রেফতার

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মেয়ে হর্ষিতা কেজরিওয়ালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে প্রায় ৩৪০০০ টাকা, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। সোমবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত অনলাইন জালিয়াতির অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, একটি জনপ্রিয় অনলাইন ব্যবসায়িক সংস্থায় সোফা বিক্রি করার চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে হর্ষিতা কেজরিওয়াল। কিন্তু তাতেই ঘটে গেছে বিপত্তি। এক ব্যক্তি ওই সোফা কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাঁর সঙ্গে যথারীতি অ্যাকাউন্টের প্রয়োজনীয় বিবরণ শেয়ার করেন হর্ষিতা। আর তখনই নাকি অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যাবলী সঠিক আছে কিনা তা যাচাইয়ের অছিলায় একটি কিউ আর কোড (QR code) স্ক্যান করতে বলা হয় তাঁকে। ওই ব্যক্তির কথা মতো কাজ করার সঙ্গে সঙ্গেই ২০০০০ টাকা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে যায়। এরপর থেকে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

আরও পড়ুন- বাইডেনকে সাফল্যের শুভেচ্ছা নমোর, জানালেন সস্ত্রীক ভারতে আসার আমন্ত্রণ

এখানেই শেষ নয়, এরপর ভুল কোড পাঠানো হয়েছে বলে হর্ষিতা কেজরিওয়ালকে ফের একটি কিউ আর কোড পাঠান অভিযুক্ত ব্যক্তি। আবারও একই ভাবে কেটে যায় ১৪০০০ টাকা। রবিবার এ বিষয়ে দিল্লি পুলিশের সিভিল লাইনস পুলিশ স্টেশনে কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মেয়ে। পুলিশ জানিয়েছে , “অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা একটা এফআইআর দায়ের করেছি। তদন্ত চলছে এবং আমরা অভিযুক্তের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি।” বলা বাহুল্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *