নয়াদিল্লি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া সহ আরো কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতে ভ্যাকসিন তৈরি এবং প্রদানের বিষয়ে এখনো প্রত্যক্ষভাবে কিছু বলা হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। তবে এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানালেন, প্রথম পর্যায়ে ৫১ লক্ষ মানুষকে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘প্রায়োরিটি ক্যাটাগরি’ মেনেই এই সকল মানুষকে নির্ধারিত করা হয়েছে বলে জানান কেজরিওয়াল।
এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক করে এ দিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, ইতিমধ্যে দিল্লিতে ৭৪ লক্ষ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের স্টোরেজ গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৫১ লক্ষ মানুষকে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে স্পষ্ট করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তাদের নাম ইতিমধ্যেই রেজিস্টার করে নেওয়া হবে এবং এসএমএসের মাধ্যমে তাকে জানিয়ে দেওয়া হবে কবে, কোথায় এবং কোন সময় ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আরবিন কেজরিওয়াল স্বস্তির বার্তা দিয়ে বলেন, বিগত কয়েক দিনে রাজধানীর করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অনেক উন্নতি করেছে। সংক্রমণের হার যেমন কমেছে যেমন বেড়েছে সুস্থতার সংখ্যা। এই সময় দাঁড়িয়ে এখন মানুষ শুধু অপেক্ষা করছে ভ্যাকসিন আসার।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে। তিনি জানতে চেয়েছেন, বেশ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়ে গিয়েছে, তাহলে ভারতের নম্বর কবে আসবে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরের বছর মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই হয়তো ভারত করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে। যদিও নির্দিষ্ট কোনো সময়ে বা তারিখ এখনো উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে দেশবাসীর মনে জল্পনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪,৭১২ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। নয়া সংক্রমণে মোট আক্রান্তের সংখ্য়া হয়েছে ১,০১,২৩,৭৭৮ জন। এখনও চিকিত্সাধীন রয়েছেন ২,৮৩,৮৪৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৬,৯৩,১৭৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৯,৭৯১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার ৯৫.৭৫%।