ভুবনেশ্বর: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর আপাতত বেশ কিছু দিন কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যেমন দুর্ঘটনার আসল কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি, তেমনই একাধিক মৃতদেহ শনাক্ত হয়নি। এর মূল কারণ, মৃতদেহ চিনতে না পারা। ভুবনেশ্বর এইমসের মর্গে যে মৃতদেহগুলি রাখা আছে তাদের মধ্যে অধিকাংশেরই পচন ধরতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিশেষ কন্টেনারে লাশ রাখা হবে যাতে বেশি দিন তা রাখা যায়।
এই ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানান হয়েছে। অনেকের দেহ শনাক্তকরণ হলেও বহু মৃত মানুষের দেহ চিনেই উঠতে পারছেন না তাদের পরিবার-পরিজনরা। এখনই দেহগুলিতে পচন ধরতে শুরু করেছে। আরও বেশিদিন এভাবে থাকলে তা চেনাই দুস্কর হয়ে যাবে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে দেহ বেশিদিন ধরে রাখার জন্য পারাদ্বীপ বন্দর থেকে বিশেষ ধরনের কন্টেনার আনা হচ্ছে বলে খবর। তাহলে শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই মরদেহগুলি সঠিক পদ্ধতিতে রাখা যাবে। ওড়িশা প্রশাসন সূত্রে খবর, যে কন্টেনারগুলি আনা হচ্ছে তাতে একসঙ্গে ৩০ থেকে ৪০টি দেহ রাখা যাবে। এক থেকে দু’বছর দেহ রাখতে চাইলেও সমস্যা হবে না।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মাঝেমধ্যেই রেল দুর্ঘটনা ঘটছে কেন? করমণ্ডল সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা | Train Accident” width=”789″>
এমনিতে ওড়িশার কোনও হাসপাতালেই এতগুলি দেহ একসঙ্গে রাখার কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে মরদেহগুলিকে ঠিকভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আপাতত জানা গিয়েছে, ভুবনেশ্বর এইমসে আসা ১২৩ জনের দেহের মধ্যে ৪১ জনের দেহ তাঁদের আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখনও একাধিক রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে বহু মানুষ চিকিৎসাধীন। মৃতের সংখ্যা যে আরও বাড়তে পারে তার কিঞ্চিৎ আশঙ্কা এখনও আছে।