ইম্ফল: সংঘর্ষ থামার কোনও লক্ষণ নেই মণিপুরে। পরিস্থিতি ক্রমশ রাজ্য এবং কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। শেষ কয়েকদিনে একাধিকবার সেনাবাহিনীর ওপর হামলা হয়েছে রাজ্যে, জ্বালানো হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি। রবিবার জানা গেল, সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি ১২ জন ‘বিদ্রোহী’কে ছাড়ানোর জন্য অন্তত বারোশো জন মণিপুরে জওয়ানদের ঘিরে ফেলেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন মহিলা! অবশেষে এই বন্দিদের ছাড়তে বাধ্য হয় সেনারা।
সাম্প্রতিক সময়ে মণিপুরে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তাতে যাদের সবথেকে বেশি ভূমিকা তাদের মধ্যে ছিল এই ১২ জন। সেনার তরফে জানান হয়েছে, যে ১২ জনকে শনিবার আটক করা হয়েছিল তাঁরা মেইতেই জঙ্গিগোষ্ঠী কাঙলেই ইয়ায়ুল কান্না লুপ (কেওয়াইকেএল)-এর সদস্য। এর আগে বহুবার তারা সেনার ওপর হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এখন সেনাকেই প্রায় বারোশো মহিলা ঘিরে ধরে রেখে তাদের ছাড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট, সেনা তথা রাজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মহিলারা অনেক বড় ভূমিকা পালন করছেন। প্রাণহানির সম্ভাবনা এড়াতেই সেনা তাদের দাবি মেনে নেয়।
বিগত কয়েক দিন ধরে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে মহিলাদের দাপট অনেক বেশি দেখা গিয়েছে। সেনাদের বিরুদ্ধে লাগাতার তারাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাদের গাড়ি আটকাচ্ছেন। এমনকি সিবিআই তদন্তেও তারা বাধা দিচ্ছেন। পরিস্থিতি যে খারাপ থেকে খারাপতম হয়ে যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।