সেনা ক্যান্টিনে নিষিদ্ধ বিদেশি মদ শুরু স্বদেশি-অভিযান

সেনা ক্যান্টিনে নিষিদ্ধ বিদেশি মদ শুরু স্বদেশি-অভিযান

6ae51262924b5bd8097b41b68db96a47

নয়াদিল্লি:  ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে একটি বড় সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্রীয় সরকার। সেনা ক্যান্টিনে নিষিদ্ধ হতে চলেছে মদ–সহ বিদেশি দ্রব্য।

সংবাদসংস্থা রয়টার্সসূত্রে খবর। দেশজুড়ে প্রায় ৪ হাজার সেনা ক্যান্টিন ছড়িয়ে রয়েছে। অবিলম্বে বিদেশি জিনিসের সরবরাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি শাখাকে। সেনা ক্যান্টিনগুলিতে মদ, ইলেকট্রনিক দ্রব্যসহ নানা প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি হয় কম দামে। ফলে খরচে রাশ টানতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
 

সেনাবাহিনীতে কর্মরত, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ও তাঁদের পরিবার সেনা ক্যান্টিন থেকে জিনিস কিনতে পারেন। ক্যান্টিনগুলির বার্ষিক আয় প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ১৪ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকার কিছু বেশি। দেশের অন্যতম বৃহৎ রিটেল চেইন এই আর্মি ক্যান্টিন। 
 

১৯ অক্টোবর প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি হয়েছে, ভবিষ্যতে আর্মি ক্যান্টিনগুলির জন্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা জিনিস কেনা হবে না। মে এবং জুলাই মাসে সেনার তিন বিভাগের সঙ্গেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী দেশি দ্রব্যের চাহিদা বাড়ানোর জন্যই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কোন কোন বিদেশি দ্রব্য কেনা হবে না, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে বিদেশী মদের ওপর কোপ পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
 

সেনা ক্যান্টিনগুলিতে বিদেশি দ্রব্য বিক্রি করে মোট আয়ের ৬ থেকে ৭ শতাংশ আসে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিসের সমীক্ষার ভিত্তিতে এই তথ্য জানতে পারা গেছে। ক্যান্টিনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জিনিসগুলির মধ্যে রয়েছে চিনে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী যেমন ডায়পার, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, হ্যান্ডব্যাগ, ল্যাপটপ। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জুন মাস নাগাদ জানায়, সরকারি দোকান থেকে বিদেশি মদের বরাত বিদেশি সংস্থা পারনড এবং ডিয়াজিও’র কাছে যাচ্ছে না। বরং আর্মি ক্যান্টিনগুলি থেকে বিদেশি মদ বিক্রি করে বার্ষিক আয় হয় প্রায় ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *