কোহিমা: নাগাল্যান্ডে সেনাবাহিনী যে ঘটনা ঘটিয়েছে তবে এখনো উত্তাপ কমে যায়নি বরং দিন দিন আরো বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে বড় ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এই বক্তব্যের পরেও ধোঁয়াশা কমছে না নাগাল্যান্ডের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে। উত্তেজনার পারদ বাড়ার মধ্যেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ করল ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ। তাদের দাবি, মৃতদের পরিচয় লুকাতে সেনাবাহিনী তাদের পোশাক বদলে দিয়েছিল! এক প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিহতদের পরিবারের তরফে এমন অভিযোগে তোলপাড় গোটা দেশ।
যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেই ওটিং গ্রামের এক বাসিন্দা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে নিজেকে দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আচমকা গুলির আওয়াজ শুনে তারা কয়েকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং দেখেন সেনাবাহিনীর কয়েকজন মৃতদের পোশাক বদলে ফেলছে। এরপর তারা দেখেন যে কয়েকটি মৃতদেহ অর্ধনগ্ন অবস্থায় নিথর পড়ে রয়েছে মাটিতে। ওই প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরেই তারা দেখতে পান যে সেনাবাহিনীর একটি ভ্যান বেরিয়ে যাচ্ছে এবং তারা কয়েকজন সেটির পেছনে ধাওয়া করেন। তখনই তারা আরো তিনটি ভ্যান দেখতে পান যেখানে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ রাখা ছিল এবং তাদের পোশাক বদলানো ছিল বলে অভিযোগ। এই প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিকভাবেই বিরাট প্রশ্নটা উঠে গিয়েছে। সত্যিই কি সেনাবাহিনী মৃতদের পোশাক বদলে ফেলেছিল পরিচয় লুকানোর জন্য?
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এর প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে বিশেষ তদন্তকারী দল। তবে এইটুকু পদক্ষেপে সমাধান কিছুই হয়নি কারণ নাগাল্যান্ড সরকার এখনই দাবি তুলতে শুরু করেছে ‘আফস্পা’ আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার। অন্যদিকে আবার নাগাল্যান্ড পুলিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা রুজু করেছে।