‘১০ মিনিট আমার সঙ্গে এক মঞ্চে তর্ক করুন, মোদি ডরপোক”

নয়াদিল্লি: মোদি চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পান, তিনি ডরপোক, প্রকাশ্যজনসভায় এভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, আমি মোদিজিকে আহ্বান জানিয়েছিলাম, রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে আমার সঙ্গে বিতর্কে বসুন। তিনি ভয় পাচ্ছেন, তিনি ডরপোক। আমি তাঁকে চিনতে পেরেছি। বুধবার ওড়িশায় কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের প্রতিনিধিদের সভায় রাফাল প্রসঙ্গ টেনে মোদিকে বেনজির আক্রমণ করলেন

‘১০ মিনিট আমার সঙ্গে এক মঞ্চে তর্ক করুন, মোদি ডরপোক”

নয়াদিল্লি: মোদি চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পান, তিনি ডরপোক, প্রকাশ্যজনসভায় এভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, আমি মোদিজিকে আহ্বান জানিয়েছিলাম, রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে আমার সঙ্গে বিতর্কে বসুন। তিনি ভয় পাচ্ছেন, তিনি ডরপোক। আমি তাঁকে চিনতে পেরেছি। বুধবার ওড়িশায় কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের প্রতিনিধিদের সভায় রাফাল প্রসঙ্গ টেনে মোদিকে বেনজির আক্রমণ করলেন রাহুল।

সভামঞ্চ থেকে রাহুল বলেন, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছেন মোদি। এসব প্রতিষ্ঠান কোনও রাজনৈতিক দলের নয় জাতীয় সম্পত্তি। মোদি ও তাঁর দলবল মনে করেন তাঁরা সব জাতির ঊর্ধ্বে, তিনটে মাস যেতে দিন ভালোমতো টের পাবেন গোটা ভারতীয় জাতিই বিজেপির ঊর্ধ্বে। এর আগেও রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজীব পুত্র, তিনি বলেছিলেন চৌকিদার চোর হ্যায়। তাঁর অভিযোগ, এই সরকারের আমলে ফ্রান্সের একটি সংস্থার সঙ্গে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার যে চুক্তি হয়েছিল, তা আদৌ স্বচ্ছ ছিল না। তাতে মোদির ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি অনিল অম্বানিকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিন রাহুল মোদির উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার ছাতির মাপ ৫৬ ইঞ্চি, আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি। আমার সঙ্গে তর্ক করুন।ডোকলাম সংকটের সময় আমাদের সেনা চিনের লালফৌজের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল, তখন মোদি বেজিংয়ে ছুটে গিয়ে চিনা নেতৃত্বের সঙ্গে হাত জোড় করে কথা বলেছিলেন। চিনারা বুঝতে পেরেছিল, মিস্টার ৫৬ ইঞ্চি আসলে চার ইঞ্চিও নন। আমরা কখনও কারও নামে মুর্দাবাদ স্লোগান দেব না। ওই ধরনের স্লোগান বিজেপি, আরএসএস দেয়। আমরা ভালোবাসা দিয়েই বিজেপিকে পরাজিত করব। এদিন রাহুল ন্যূনতম রোজগার নিশ্চয়তা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা ক্ষমতায় এলে দেশের প্রত্যেক গরিব মানুষ সরাসরি লাভবান হবেন।
তাঁর কথায়, ওই প্রকল্প নিয়ে আমরা ছ’মাস ধরে আলোচনা করেছি। আমরা ভাবলাম, নরেন্দ্র মোদি যদি তাঁর ১৫ জন শিল্পপতি বন্ধুকে সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা পাইয়ে দিতে পারেন, তাহলে কংগ্রেস দেশের গরিবদের ন্যূনতম রোজগারের গ্যারান্টি দিতে পারবে না কেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + 18 =