চেন্নাই: বরাবর আলাদাভাবে সম্মান পেয়ে এসেছেন তিনি। সেলিব্রিটি হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কানাঘুষো, কুৎসা রটতে দেখা যায়নি কখনওই। কিন্তু এ আর রহমান এবার বিতর্কে জড়ালেন। তাঁর বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ আনল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আদালতের তরফে ইতিমধ্যেই তাঁকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনায় বিস্মিত হয়েছে তাঁর ভক্ত থেকে সহকর্মীরাও।
বলিউড তথা ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সেরা সুরকার এবং সঙ্গীতশিল্পী এ আর রহমানের ভক্তের সংখ্যা অগণিত। রোজা, বম্ব সহ বহু বহু সিনেমায় কালজয়ী গানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশ থেকে বিদেশে। এহেন সুরকারের নামে অভিযোগ, ৩.৪৭ কোটি টাকা অবৈধ ভাবে চ্যারিটেবল ট্রাস্টে (দানকল্পের জন্য তৈরি সংস্থা) জমা করেছেন। মাদ্রাজ হাইকোর্টের নোটিসে বলা হয়েছে, লিব্রা নামক ব্রিটেনের এক মোবাইল সংস্থার রিংটোন বানানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন রহমান। এই ঘটনা ২০১১ সালের। তিন বছরের চুক্তিতে ওই ৩.৪৭ কোটি টাকা বেতন পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছিলেন তিনি।
আদালত জানিয়েছে, এই আয়ের জন্য আগে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে তবেই তা কোনও দানকল্পে হস্তান্তরিত করা যাবে। কিন্তু সঙ্গীতশিল্পীটি তা করেননি। মাদ্রাজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি টি শিভাগনমন এবং ভি ভবানী এ আর রহমানকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও কর ফাঁকির অভিযোগে আইনি ঝামেলায় পড়েছিলেন তিনি। সে সময় মাদ্রাজ হাইকোর্টই সেই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্টে অর্ডার দেয়। কিন্তু এবার আর পরিত্রাণ পাননি অস্কারজয়ী সুরকার। তাঁর তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।