করোনা আবহেই অ্যাপেলে মজেছে ভারতবাসী! রেকর্ড বিক্রি আইফোনের

গত মাসেই অ্যাপেল ভারতে তাদের প্রথম অনলাইন স্টোর লঞ্চ করেছিল।

নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি, লকডাউনের চাপ, কোন কিছুই যেন বাধা নয় ভারতবাসীর জন্য। অন্তত ভারতে অ্যাপেলের ব্যবসার পরিসংখ্যান তেমনটাই বলছে। গত মাসেই অ্যাপেল ভারতে তাদের প্রথম অনলাইন স্টোর লঞ্চ করেছিল। তারপরেই সেপ্টেম্বর মাসে রেকর্ড বিক্রি হয়েছে অ্যাপেল আইফোনের। নতুন স্টোর লঞ্চ করার পরেই আন্দাজ করা যাচ্ছিল যে ভারতে অ্যাপেলের ব্যবসা বাড়বে। পরিশেষে হলও তাই।

সম্প্রতি অ্যাপেল ভারতে তাদের বিক্রির যে হিসাব দিয়েছে, তাতে অনেকটাই বৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে। সেপ্টেম্বর কোয়ার্টারে তাদের মোট ৬৪.৭ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। ভারতের অ্যাপেল তথা আইফোনের রেকর্ড বিক্রির প্রেক্ষিতে সিইও টিম কুক জানিয়েছেন, আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার বাকি অংশে চলতি কোয়াটারে অ্যাপেলের রেকর্ড বিক্রি হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে প্রায় ৮ লক্ষ প্রোডাক্ট বিক্রি করেছে অ্যাপেল। ভারতের অনলাইন অ্যাপেল স্টোর লঞ্চ করার পরে বিক্রি আরও বেড়েছে। টিমের মতে, অনলাইন স্টরে লঞ্চ করা এই সাফল্যের অন্যতম বড় কারণ। কারণ এর আগে অন্যান্য অনলাইন পোর্টাল থেকে অ্যাপেলের প্রোডাক্ট কিনতে হত। এখন সেইসব পোর্টাল যেমন ফ্লিপকার্ট বা অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট না কিনে সরাসরি অ্যাপেল স্টোর থেকে সাধারণ মানুষ জিনিস কিনতে পারছেন। এটাই টার্নিং পয়েন্ট হয়েছে। তবে এই বিক্রির পরিমাণ আগামী দিনগুলোতে প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অনলাইন স্টোরের মত, অ্যাপেলের আইফোনের প্রথম 5g মডেল ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সেই কারণে বিক্রির পরিমাণ বাড়ছে বলে ধারণা। অন্যদিকে অ্যাপেল এর অন্যতম সেরা প্রোডাক্ট ম্যাকের তৃতীয় কোয়ার্টারে বিক্রি ছিল ৯ বিলিয়ন ডলার, চতুর্থ কোয়াটারে সেটাই ১৪ বিলিয়ন ডলার হতে পারে বলে অনুমান। তবে ভারতে অ্যাপেলের আইফোনের বিক্রি বাড়লেও বিশ্বজুড়ে আইফোনের বিক্রি ২০ শতাংশের ওপর কমে গেছে। এর কারণ মূলত লকডাউন। সাপ্লাইয়ের সমস্যা হওয়ায় ঘাটতি হয়েছে সংস্থার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *