নয়াদিল্লি: বিরোধী পক্ষের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে গতকালের মতো এদিনও উত্তাপ ছড়ায় লোকসভায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে নিজের ভাষণে নানা আঙ্গিকে বিরোধীদের কটাক্ষ করেন। একাধারে তিনি যেমন বলেন, বিরোধীদের নিজেদের স্বার্থে দেশকে টুকরো করে দিয়েছেন, অন্যদিকে তিনি এও দাবি করেন, বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব তাঁদের কাছে শুভ; ২০২৪ সালের রেকর্ড ভেঙে যাবে সব। কিন্তু এরই মধ্যে মোদীর নিশানায় আজ আলাদাভাবেই যেন ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা বিরোধী নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
এদিন সংসদে নরেন্দ্র মোদী কার্যত মশকরা করেন অধীর চৌধুরীকে নিয়ে। গোটা সংসদ ভবন অট্টহাসিতে গমগম করে ওঠে প্রধানমন্ত্রীর কথায়। তবে তাঁকে একহাত নিয়ে পরোক্ষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকেও কি তিনি নিশানা করেন? রাজনৈতিক মহলে কিন্তু এই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কিন্তু কেন? আসলে এদিন অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কথা বলতে গিয়েছে একটু অতীতের কথা টেনে এনেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ১৯৯৯ সাল, ২০০৩ বা ২০১৮ সালের কথা বলে তিনি বলেন, প্রতিবারই বিরোধী নেতাদের ভাষণে আলোচনা শুরু হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাবে। কিন্তু এবার অধীর চৌধুরীকে বলতেই দেওয়া হয়নি। কংগ্রেসকে তোপ দেগে মোদীর বক্তব্য, জানা নেই যে কীসের বাধ্যবাধকতা কিন্তু তাঁকে দল এক কোনে করে দিচ্ছে। জানা নেই কলকাতা থেকে কোনও ফোন এসেছে কিনা।
এখন কলকাতা থেকে অধীর চৌধুরীকে কে ফোন করবেন, কেনই বা করবেন তা নিয়ে অবশ্য কিছুই বলেননি মোদী। তবে তাঁর কথায় ইঙ্গিত মেলে, বিরোধী জোটকে নিশানা করেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। আসলে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’তে ২৬ বিরোধী দল আছে। কংগ্রেস, তৃণমূল তাতে অন্যতম। সেই প্রেক্ষিতেই কি খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী? বিরোধী পক্ষের মধ্যেই এমন মন্তব্য করে গোল বাধানোর চেষ্টা করলেন তিনি? প্রশ্নের উত্তর খোঁজা শুরু হয়েছে।