লাগাতার ৪১ দিন, করোনা সংক্রমণে বিশ্বশীর্ষে ভারত, উদ্বেগ বাড়িয়ে ৫০ লক্ষ পার

লাগাতার ৪১ দিন, করোনা সংক্রমণে বিশ্বশীর্ষে ভারত, উদ্বেগ বাড়িয়ে ৫০ লক্ষ পার

নয়াদিল্লি: উদ্বেগ ক্রমশ বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। প্রতিষেধক নিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গবেষণার ভিতরেও দেশে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়াল। একদিনে ৯০ হাজার ১২৩ নতুন সংক্রমণ এবং একদিনে ১২৯০টি মৃত্যুর খবর মিলেছে।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা এখনও পর্যন্ত দেশে সর্বাধিক। দেশে এখনও পর্যন্ত সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,২০,৩৬০। যদিও এর মধ্যেও সুখবর, সুস্থতার হার বেড়েছে ভারতে। দেশে সুস্থতার হার ৭৮.২৮ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত ৩৯,৪২,৩৬১ জন সুস্থ হয়েছেন। দেশে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রের।

আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০.৭ লক্ষ এবং দিনে প্রায় ১৭ হাজারের ওপর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মহারাষ্ট্রের পর আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে পরপর রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং উত্তরপ্রদেশ। আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে দেশে অ্যাক্টিভ কেসের অর্ধেকের কাছাকাছি রয়েছে তিনটি রাজ্য, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। এক চতুর্থাংশ অ্যাক্টিভ কেসের কাছাকাছি রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, কেরালা, তেলেঙ্গানা। জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

মন্ত্রক সূত্রে খবর মোট আক্রান্তের হিসেবে অ্যাক্টিভ কেসের প্রায় ৬০ শতাংশের ওপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে সুস্থতার হারের ক্ষেত্রেও প্রায় ৬০ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে এই পাঁচ রাজ্য। ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের বেশির ভাগ, প্রায় ৬৯ শতাংশ আক্রান্ত মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি থেকে। দেশে মৃত্যুর বিচারে প্রায় ৩৭ শতাংশ মৃত্যুই হয়েছে মহারাষ্ট্রে।

রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯,৮৯৪। ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যের মোট মৃত্যু হযেছে ৩৬৩জনের যা দেশের মৃতের সংখ্যার ৩৪.৪ শতাংশ।  স্বাস্থ্যমন্ত্রক জোর দিয়ে জানিয়েছে মৃত্যুর ৭০ শতাংশই কোমর্বিডিটিতে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু লক্ষ ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উপসর্গহীন আক্রান্তেরা। বিশেষ করে করোনা টেস্টের সংখ্যা বাড়ার পরই করোনা পজিটিভের খোঁজ মিলছে। কলকাতাতেই সংক্রমণের হার বেশ বেশি। প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি সংক্রমণ রয়েছে রাজ্যের রাজধানীতে।          
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *