নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ হু-হু করে বাড়ছে দেশে। রবিবারের পরিসংখ্যান অনুসারে, কোভিড ১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা ৬.৭৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে কমিউনিটি স্প্রেডের বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, কমিউনিটি স্প্রেড ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এমনকী, স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। সেই কারণেই কি আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড হারে বেড়ে চলেছে?
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৪,৮৫০। রবিবার পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬,৭৩,১৬৫। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের কোভিড ১৯ সংক্রমণের তালিকায় ভারত রয়েছে তিন নম্বর স্থানে। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই কমিউনিটি স্প্রেডের আশঙ্কা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ভাইরোলজিস্ট অমিতাভ নন্দী জানিয়েছেন, 'আমি তো মার্চ মাসেই বলেছিলাম কমিউনিটি স্প্রেড হয়েছে। সেটা তখন কম ছিল। এখন লাগামছাড়া হয়ে গেছে। এটা তো হতে বাধ্য। তখনই বলেছিলাম।' কমিউনিটি স্প্রেড আসলে কী? সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কমিউনিটি স্প্রেড বলতে বোঝায়, যখন কোনও একটি রোগীর সেই রোগের উৎস সম্পর্কে জানতে পারা যায় না। কোথা থেকে তিনি সংক্রামিত হলেন, সেটা যখন বোঝা যায় না, তখনই সেটা কমিউনিটি স্প্রেড।' সেই সংজ্ঞা অনুসারে গত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসেই এই রাজ্যের যে ডানলপের এগরোল বিক্রেতা সংক্রামিত হয়েছিলেন, তখনই কমিউনিটি স্প্রেড হয়েছিল। কিংবা মুদিয়ালির এক অ্যাম্বুল্যান্স সংস্থার মালিকের সংক্রমণেও একই তত্ত্ব দিয়েছেন অমিতাভ নন্দী।
করোনার এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত হওয়া দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভাইরোলজিস্ট অমিতাভ নন্দী মনে করেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য দরকার উপসুস্থ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর। এর পাশাপাশি মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতনতা আনা প্রয়োজন। তা হচ্ছে না বলেই মানুষ বিধিনিষেধ উপেক্ষা করছেন। তাছাড়া স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'আমরা কি এখনও বসে থাকব? কোটি কোটি মানুষ যখন সংক্রামিত হবেন, তখন কমিউনিটি স্প্রেড হয়েছে বলব?'