মাস্কহীন মোদীর আলিঙ্গনে অস্বস্তিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো, বিদ্ধ তির্যক মন্তব্যে

মাস্কহীন মোদীর আলিঙ্গনে অস্বস্তিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো, বিদ্ধ তির্যক মন্তব্যে

 

নয়াদিল্লি: দেশে হোক বা বিদেশে, যে কোনও রাষ্ট্র নেতার সঙ্গে দেখা হলেই তাঁর সঙ্গে নিবিড় আলিঙ্গনে আবদ্ধ হন প্রধানমন্ত্রীর  নরেন্দ্র মোদী৷ অনেকেই মনে করেন এটা প্রধানমন্ত্রীর আলিঙ্গন কূটনীতি৷ কিন্তু এবার আলিঙ্গন করতে গিয়েই বিতর্কে জড়ালেন নমো৷ জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর আলিঙ্গনে ‘অস্বস্তি’তে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। এই নিয়ে তির্যক মন্তব্য করতে ছাড়েনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম৷ প্রশ্ন উঠেছে মাস্কহীন নরেন্দ্র মোদীকে নিয়েও। 

আরও পড়ুন- নতুন দল গড়তে চান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী! তুঙ্গে চর্চা

দিন কয়েক আগে রোমে জি-২০ গোষ্ঠীর বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন নমো৷ সেখানে গিয়ে একের পর এক রাষ্ট্রনেতাকে আলিঙ্গন করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী৷ শনিবার ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে দেখা করার সময়েও তাঁর সঙ্গে আলিঙ্গনবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তবে এ পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি৷ কিন্তু গোল বাঁধল সোমবার৷ গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনের মঞ্চে মোদী এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হ্যান্ডসেক করার পরেই তিনি সোজা এগিয়ে যান গুতেরেসের দিকে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবকে জড়িয়ে ধরেন মোদী। কিন্তু গুতেরসের চোখে মুখে তখন অস্বস্তির ছাপ৷ মোদীর আলিঙ্গনে তেমন সাড়াও দিলেন না তিনি৷ 

রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের সঙ্গে নিবিড় আলিঙ্গনে আবদ্ধ হতে পারেননি মোদী। তবে অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের সহাস্যে বুকে জড়িয়ে ধরেন তিনি৷ যদিও মোদীর এই উষ্ণ আলিঙ্গন নজর কাড়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের। একটি সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে লেখা হল, ‘উষ্ণতা বাড়ছে! প্রধানমন্ত্রী মোদী গুতেরেসকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে তৈরি হল অস্বস্তিকর মুহূর্ত’। প্রঙ্গত,  ব্রিটেনে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে৷ প্রশ্ন উঠেছে,  এই পরিস্থিতিতে দূরত্ব-বিধির তোয়াক্কা না করে কেন আলিঙ্গন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী? তাঁর মুখে মাস্কই বা গেল কোথায়! গোটা জি-২০ বৈঠকে মোদীর মুখে মাস্ক দেখা যায়নি৷ এর জন্য বিরোধীদের কটাক্ষও শুনতে হয়েছে মোদীকে৷ তাঁদের বক্তব্য, দেশের মানুষকে সুযোগ পেলেই মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী৷ অথচ বিদেশে গিয়ে নিজে মাস্কহীন কেন? আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে দেশবাসীকে কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী?
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *