নয়াদিল্লি: কথা ছিল মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস থেকেই আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে আমরণ অনশনে বসবেন আন্না হাজারে। কিন্তু একদিনের মধ্যেই মত বদল করে ফেললেন তিনি। জানা গিয়েছে, যে আমারও আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করার কথা ছিল তার সেটা তিনি এখন আর করবেন না। অর্থাৎ আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্না হাজারে। তাঁর এই সিদ্ধান্তে আপাতদৃষ্টিতে বড় ধাক্কা খেল কৃষকরা।
জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে অনশন প্রত্যাহার করেননি আন্না হাজারে, কেন্দ্রীয় বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইনকে সমর্থন করেছেন তিনি। আন্না জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে এই সংক্রান্ত ব্যাপারে যে শর্ত নিয়েছিলেন তা তারা মেনে নিয়েছে। সেই কারণেই এখন আর তিনি আমরণ অনশনে বসছেন না। এর আগে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আন্না হাজারের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের প্রতি একেবারেই সংবেদনশীল নয়। কৃষকদের ব্যাপারে তারা কখনোই সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। এই কারণেই তিনি আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে অনশনে বসতে চলেছেন। যদিও এই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নিজের অবস্থান থেকে সরে গেলে তিনি।
বেশ কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা দেশজুড়ে কৃষি আন্দোলন প্রজাতন্ত্র দিবসের লালকেল্লা অভিযানের পরই যেন একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে। লালকেল্লার ঘটনা ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশে কারণ জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনরত কৃষকদের বিরুদ্ধে। যদিও জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়নি আর লালকেল্লা অভিযান ষড়যন্ত্র করে করানো হয়েছে বলে দাবি তুলেছে তারা। এই প্রেক্ষিতে তাদের নিশানায় রয়েছেন পাঞ্জাবি অভিনেতা এবং নেতা দীপ সিধু। তিনি বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে কৃষক আন্দোলনের সার্বিক চিত্র খুবই ভঙ্গুর। ইতিমধ্যে দুটি কৃষক সংগঠন আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং একাধিক জায়গায় শব্দের আন্দোলন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। অন্যদিকে, সিঙ্ঘু সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে গিয়েছে পুলিশ এবং কৃষকদের মধ্যে।