বিশাখাপত্তনম: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা৷ লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা৷ করোনা উঠতে লকডাউন ঘোষণা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিস্থিতি৷ মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি অর্থনীতির৷ করোনা রুখতে বাড়চে সরকারি খবর৷ এবার সেই খরচ তুললে সংক্রমণের আশঙ্কা লাটে তুলে মদের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার৷ মদের দোকান খুলতেই মুনাফা লুটতে শুরু করেছে মদ কারবারি থেকে সরকার৷ সামাজিক দূরত্ব বিধি লাটে তুলে মদের লাইনে দাঁড়িয়েছে দেশের লক্ষ লক্ষ জনতা৷ এবার মদের লাইনে জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পুলিশ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মদের লাইনে বেপরোয়া জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের নতুন দায়িত্ব দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার৷ আর এই নিয়ে গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়েছে বিতর্ক৷
শিক্ষা বহির্ভূত কাজ শিক্ষকদের দিয়ে করানো যায় না৷ এই মর্মে শীর্ষ আদালতের নির্দেশও রয়েছে৷ কিন্তু করোনা সংক্রমনের আবহে এবার সেই শিক্ষকদের মদলের লাইনে বেপরোয়া জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণের শিক্ষকদের কাজে লাগাচ্ছে অন্ধপ্রদেশ সরকার৷
আবগারি দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ভাস্কর রাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অন্ধ্রের ৩১১টি জেলায় মদের দোকানের মাধ্যে ২৭২টি খোলা পয়েছে৷ লকডাউনের মধ্যে মদ কিনতে বাড়ছে ভিড়৷ আর সেই ভিড় সামলা দিতে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের ডাকা হয়েছে৷
কীভাবে কাজ করবেন শিক্ষাকরা? তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷আবগারি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা দোকানের বাইরে লাইন দেবেন, তাঁদের হাতে টোকেন তুলে দেবেন শিক্ষকরা৷ নম্বর অনুযায়ী মদ্যপ ক্রেতাদের কাউন্টার পর্যন্ত এগিয়ে দেবেন শিক্ষকরা৷ বেররোয়া জনতার মদের লাইনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে শিক্ষকদের প্রধান কাজ৷
এতদিন চক, ডাস্টার, বই-খাতা নিয়ে শিক্ষা দান ছিল যাঁদের কাজ, করোনা আবহে এখন সেই শিক্ষকদের লাঠি হাতে মদপ্যদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে৷ এটা যে কতবড় লজ্জা, তা ভেবে সমাজে মুখ দেখেতে পারছেন বিশাখাপত্তনমের আনাকাপাল্লি শহরের অধিকাংশ শিক্ষক৷ শিক্ষা ফেলে মদের দোকানে ডিউটি? মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা৷ অবিলম্বে এই নির্দেশ বাতিল না করা হলে শিক্ষক পদ থেকে সরে দাঁড়ানোরও হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ তবে, সরকারের প্রয়োজনে অন্য কোনও কাজে তাঁরা প্রস্তুত৷ কিন্তু মদের দোকানে ডাউটি করতে নারাজ অন্ধপ্রদেশের শিক্ষক সমাজ৷