নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে বারবার তাঁকে মুখ খুলতে দেখা গেছে। কিন্তু আজ কৃষকদের প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্র্যাক্টর মিছিলে যে অশান্তির সাক্ষী থাকল দিল্লি, তা মেনে নিতে পারলেন না তিনিও।
দিল্লিতে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে ঘিরে তৈরি হওয়া অশান্তির বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ঘটনার সমালোচনায় মুখর হন। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে তিনি লেখেন, “দিল্লির দৃশ্য ভয়ানক। কিছু মানুষের এই হিংসাত্মক কর্মসূচী কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এত দিন ধরে কৃষকরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যে সম্মান অর্জন করেছিলেন এটা তার ক্ষতি করবে। কৃষক নেতারা এই ট্র্যাক্টর মিছিল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন।” এখানেই শেষ নয়, সমস্ত কৃষকদের দিল্লি ছেড়ে সীমান্তে ফিরে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন মু্খ্যমন্ত্রী। “আমি সমস্ত সৎ কৃষকদের দিল্লি ছেড়ে এখনি সীমান্তে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি”, বলেছেন তিনি।
বস্তুত, এদিন সকাল থেকেই আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের মুহুর্মুহু সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় রাজধানী। নির্ধারিত সময়ের আগেই একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে ট্র্যাক্টর নিয়ে রাজপথে ঢোকেন কৃষকরা। তাঁদের গন্তব্য ছিল লালকেল্লা। যেখানে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের দিন তেরঙা পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী, সেখানেই এদিন কৃষকরা ওড়ান তাঁদের পতাকা। কৃষকদের মিছিল দমনে পুলিশের তরফ থেকেও নেওয়া হয় কড়া পদক্ষেপ। লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে টিয়ার গ্যাস, বাদ যায় না কিছুই। এছাড়া বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীর আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে দিল্লি সূত্রে। উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পার্লামেন্টে কৃষি সংক্রান্ত তিনটি বিল পাশ করে কেন্দ্র। কিন্তু এই আইন গুলি আদতে কৃষক বিরোধী বলেই দাবি করে বিরোধী শিবির। এর বিরুদ্ধেই দীর্ঘ দিন ধরে রাজধানীতে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন কৃষকরা।